ভোলার লালমোহনে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে এক কিশোরী। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের করিমগঞ্জ এলাকার অজিউল্যাহ মাঝি বাড়িতে অবস্থান নেয় ওই কিশোরী।
জানা যায়, পার্শ্ববর্তী তজমুদ্দিন উপজেলার দক্ষিণ খাসেরহাট গ্রামের কিশোরী রূপার (ছদ্মনাম) সঙ্গে গত এক বছর আগে লালমোহনের করিমগঞ্জ এলাকার অজিউল্যাহ মাঝি বাড়ির মো. আব্বাস উদ্দিনের ছেলে শাকিলের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর ওই পরিচয় পরিণত পায় প্রেমের সম্পর্কে। একপর্যায়ে ওই কিশোরীর ঢাকার গাজীপুরের কোনাপাড়া এলাকার বাসায় গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সর্ম্পকে লিপ্ত হয় শাকিল নামের ওই তরুণ। শারীরিক সম্পর্কের পর থেকে ওই কিশোরীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় শাকিল।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরী জানায়, শাকিল যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় গত রোববার (২৯ জানুয়ারি) প্রথমবার শাকিলের বাড়িতে এসেছি। তখন স্থানীয় ইউপি সদস্য লোকমান হোসেন ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করবেন বলে আশ্বাস দেন। যার কারণে তখন চলে যাই। তবে এরপর কোনো বিচার না পাওয়ায় মঙ্গলবার আবার শাকিলের বাড়িতে এসেছি। আমাকে দেখে বাড়ি থেকে শাকিলের পরিবারের লোকজন পালিয়ে গেছেন। শাকিল আমাকে বিয়ে না করলে আমি এখানেই (তার বাড়িতে) আত্মহত্যা করবো।
এদিকে, শাকিলের পরিবারের কাউকে না পাওয়ায় এ ঘটনায় কারো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লোকমান হোসেন জানান, শাকিল এলাকায় না থাকায় তখন ঘটনার বিচার করতে পারিনি। আবারো ওই মেয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে শাকিলের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে বলে শুনেছি। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ঘটনাটির ফয়সালা দেওয়ার চেষ্টা করবো।
এ ব্যাপারে লালমোহন থানার ওসি মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত এমন কোনো ঘটনা শুনিনি। বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
একুশে সংবাদ/শা.আ.প্রতি/এসএপি