গাইবান্ধায় পৃথক তিনটি মামলায় একজনের ফাঁসি ও দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (১ ডিস্বম্বরে) বেলা ১১টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল এর বিচারক মোঃ আব্দুর রহমান ও জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবুল মনসুর মিয়া এ পৃথক তিনটি মামলার রায় দেন।
নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মহিবুল হক মোহন জানান, ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বড়দহ পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুস সালাম এর মেয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া সুলতানা কে পার্শ্ববর্তী বড়দহ পূর্ব পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ জাবেদ আলীর ছেলে মেহেদী হাসান অপহরন করে ধর্ষণ করে। ওই ঘটনায় ১৬ই এপ্রিল মানিককে আসামি করে মামলা করে আব্দুস সালাম।
মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক আজ সকালে মেহেদী হাসানের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।রায়ের সময় আসামি মেহেদী হাসান পালাতক ছিলেন।
অপরদিকে ১৯৯৮ সালে পহেলা বৈশাখে বিষাক্ত মদ খেয়ে ১১ জন মৃত্যুর ঘটনায় মদ বিক্রেতা গাইবান্ধা শহরের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা সুরেন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে রবীন্দ্রনাথ সরকার রবি ফাঁসির আদেশ দিয়েছে জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবুল মনসুর মিয়া।
গাইবান্ধা জেলা দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর সিদ্দিকুল ইসলাম রিপু জানান, ১৯৯৮ সালের ১৪ ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখে রবির মদের দোকান থেকে মদ খেয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে গিয়ে বিষক্রিয়ায় ১১ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার দুইদিন পর ১৬ই এপ্রিল শহরের সার্কুলার রোডের মৃত মদন বাঁশফোড়ের স্ত্রী মুন্নি বাশঁফোড় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ দুপুরে ২৪ বছর পর এ রায় দেন বিচারক।
একই সাথে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বাগদা ফার্ম এলাকার তালা মারডি নামে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে জেলা দায়রা জজ আদালত । জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তালা মাডির ছোড়া তীরে ১৯৯৪ সালে মঙ্গল মার্টি নামে আরেক উপজাতি নিহত হয়। দীর্ঘ ২৮ বছর শুনানি শেষে বিচারক আজ এ রায় দেন।
একুশে সংবাদ.কম/মা.সা.প্র/জাহাঙ্গীর