সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

পীরগঞ্জে মা ও মেয়ের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ অসামাজিক কার্যকলাপের বন্ধের দাবীতে সাংবাদ সম্মেলন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৭:৩৮ পিএম, ৬ অক্টোবর, ২০২২

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মা ও মেয়ের মাদক ব্যবসা সহ অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবীতে সাংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

 

এতে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বাঁশগাড়া গ্রামের কহিনুর বেগম।

 

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের বাঁশগাড়া এলাকার হেমায়েলের মেয়ে রেহেনা ভুটিবেচি ওরফে ফুলবানু দীর্ঘদিন ধরে নিজে ও তার মেয়েকে দিয়ে নিজ বাড়িতে মাদক ব্যবসা সহ অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। এতে এলাকার কম বয়সী ছেলে মেয়েরা মাদকদ্রব্যের ওপর আসক্তি সহ খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়ছে। নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। বিপদগামী হচ্ছেন তারা। প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় দেদারসে এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

 

ধনাঢ্য ব্যক্তি উঠতি বয়সের যুবকদের যৌন কাজে আকৃষ্ট করে তা গোপনে ভিডিও ধারন করে পতারনার মাধ্যমে মোটর সাইকেল, মোবাইল ফোন সহ নগদ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ করেন তারা।

 

পৌর শহরের মিত্রবাটী এলাকার এক ছেলের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা এবং পৌর শহরের আলাল ড্রাইভার, জিয়া, ঠাকুরগাঁও শহরের মানিক, হরিপুরের জাহাঙ্গীর সহ মিত্রবাটী মহল্লার বেশ কয়েকজনকে নানা ভাবে ফাঁসিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করেছেন রেহেনা।

 

রেহেনার এহেন অনৈতিক কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে তার বড় ছেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এবং আরেক  ছেলে ও বৌমা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন। রেহেনা ও তার মেয়ের অনৈতিক  কার্যকলাপ বন্ধের জন্য এলাকার লোকজন তাকে অনেকবার নিষেধ করলেও রেহেনা অবাধে মাদক ও  অনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর প্রতিবাদ করলে এলাকার লোকজনকে নারী নির্যাতন সহ বিভিন্ন মামলায় ফাসানো হুমকি ধামকিও দিচ্ছেন তিনি।

 

এর প্রতিকার চেয়ে কয়েকদিন আগে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে গণঅভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। এতেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা। প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক সহ দেউনিয়া মর্দনিয়ারা সবাইকে ম্যানেজ করেই তিনি এসব কাজ করছেন বলেন প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছেন। এতে শংকিত এলাকার লোকজন।

 

সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন, যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা খয়রাত আলী, হাফিজ উদ্দীনের ছেলে হাসেম আলী, মমিনের স্ত্রী হেনা বেগম, আজিজুর রহমানের ছেলে ফরহাদ হোসেন প্রমূখ। এ সময় এলাকার প্রায় অর্ধশত নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

 

এ বিষয়ে রেহেনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। আমিও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি।এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার নজির বলেন, রেহেনার পক্ষে এবং বিপক্ষে দুটি দরখাস্ত পাওয়া গেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এক্তিয়ার বর্হিভূত হওয়ায় অভিযোগ গুলি থানায় পাঠানো হবে।

 

একুশে সংবাদ.কম/ল.র.জা.হা

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর