সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কক্সবাজারে ১৯ হাজার ইয়াবা উদ্ধারসহ আটক-৬ 

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৮:২৫ পিএম, ১৫ আগস্ট, ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারে কারগাড়িতে লুকিয়ে অভিনব কায়দায় ইয়াবা পাচারকালে ৬ জনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় কারগাড়ি থেকে ১৯ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে এবং গাড়িটিও জব্দ করা হয়েছে। 

আটকরা হলেন, টেকনাফ উপজেলার মৌলভীপাড়া গ্রামের লোকমান হাকিমের ছেলে রফিক (২৪), নাজিরপাড়া গ্রামের জাফর আলমের ছেলে সৈয়দ নুর (২৬), উত্তর নাজিরপাড়া গ্রামের আব্দু শুকুরের ছেলে সৈয়দ উল্লাহ (২৮), মৌলভীপাড়া গ্রামের আলী আহমদ এর ছেলে সিদ্দিক (৪০), চকরিয়া উপজেলার পূর্ব নিজ পাড়ার মৃত শাহ আলমের ছেলে ওসমান (৩০), টেকনাফের নোয়াখালীপাড়ার ছৈয়দুর রহমানের ছেলে ইব্রাহিম (২০)।

সোমবার (১৫ আগস্ট) সকাল ১০ টায় কলাতলী সংলগ্ন মেরিনড্রাইভ সড়কে এ অভিযান চালানো হয়।

কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল আলম জানান, গোপন সংবাদে টেকনাফ থেকে আসা (ঢাকা মেট্রো ক-১১-৩১৮৯) মিনিকার তল্লাশি করা হয়। এসময় ৪ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে তারা ইয়াবা পাচারের কথা অস্বীকার করে। গাড়িটি কলাতলির একটি স্থানীয় ওয়ার্কসপে নিয়ে মেকানিকের সহায়তায় গাড়ীর বিভিন্ন অংশ খুলে তল্লাশির এক পর্যায়ে গাড়ির নীচে বিশেষ কায়দায় সংযোজন করা বক্সে লুকানো অবস্থায় কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ১৯ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। 

তিনি আরো জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইয়াবা রিসিভ করার জন্য অপেক্ষায় থাকা একই চক্রের অন্য দুই মাদক ব্যবসায়ী ওসমান ও ইব্রাহিমকে কক্সবাজার জেলা কারাগার গেইট থেকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় আরো কয়েকজন পলাতক রয়েছে। যাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযান শেষে এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, ইয়াবাসহ জব্দ করা কার গাড়িটি কলাতলী মোড় এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের এক নেতার নিয়ন্ত্রণে চলা ট্যুরিস্ট সার্ভিস কার। লাইনটি ওই ছাত্রনেতার পক্ষে দেখভাল করেন কলাতলী এলাকার কায়েম মাঝির ছেলে আসাদুজ্জামান সায়েম ও শহরের পশু হাসপাতাল এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে জহিরুল ইসলাম। ইয়াবা পাচারে এই দুই পরিচালনাকারী জড়িত বলে দাবী করেন স্থানীয়রা। কার সার্ভিস লাইনের আড়ালে দীর্ঘ দিন ধরে ইয়াবা কারবারে তারা জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। আটকদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যাবে বলে দাবী করেন স্থানীয়রা। 

 

 

একুশে সংবাদ/শা.হো/এস.আই

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর