সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কোটালীপাড়ার উন্নয়ন বঞ্চিত একটি গ্রাম চিথলীয়া

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:২১ পিএম, ১৪ মে, ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও যে গ্রামে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া।নেই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।স্বাস্থ্য সেবার জন্য নেই কমিউনিটি ক্লিনিক।শুকনো মৌসুমে পা এবং বর্ষা মৌসুমে নৌকাই যাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম।তেমনি একটি গ্রাম গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের চিথলীয়া।এই গ্রামটিতে প্রায় ৯শতাধিক মানুষের বসবাস।চিথলীয়া গ্রামে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকার কারণে এলাকার বাহিরে বিভিন্ন আত্মীয়র বাড়িতে থেকে গ্রামটির শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করেন।কোন মানুষ অসুস্থ হলে শুকনো মৌসুমে কাঁধে করে এবং বর্ষা মৌসুমে নৌকা যোগে হাসপাতালে নিতে হয় বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

চিথলীয়া গ্রামের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সুকান্ত বাড়ৈ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের এমপি।তার সুবাদে কোটালীপাড়া অনেক উন্নয়ন হয়েছে।কিন্তু আমাদের গ্রামে এখনো কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি।নাই একটি স্কুল, নাই কোন স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ।গ্রামের কেই অসুস্থ্য হলে প্রায় ২কিলোমিটার পায়ে হেয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক শিল্পী বাড়ৈ বলেন, আমাদের গ্রামে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকার কারণে এখানে শিক্ষার হার কম।যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করেন তারা সকলেই গ্রামের বাহিরে আত্মীয় স্বজনের বাড়ি বা হোস্টেলে থাকেন।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষার হার কম থাকার কারণে এই গ্রামে বাল্যবিয়ে, ইভটিজিংসহ নানা ধরণের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের ঘটনা ঘটে। গ্রামটি দূর্গম হওয়ায় অনেকেই অনেক সময় আইনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।চিথলীয়া গ্রামের ইতালী প্রবাসী স্বর্ণা লতা হালদার বলেন, আমিআমার পরিবার নিয়ে ইতালী থাকি।রাস্তা ঘাট না থাকার কারণে আমার স্বামী ও সন্তানেরা দেশে আসতে চাচ্ছে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে এলাকার রাস্তা ঘাটের উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন এই প্রবাসী নারী।

পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী হিরা বাড়ৈ বলেন, আমাদের গ্রামে কোন স্কুল না থাকার কারণে আমি আমার মামা বাড়ি থেকে লেখাপড়া করি।ওখানে আমার ভালো লাগে না।আমি আমার মা বাবার কাছে থেকে লেখাপড়া করতে চাই।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেন আমাদের গ্রামে একটি স্কুল করে দেন।

কলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট বিজন বিশ্বাস বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে কলাবাড়ি ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।চিথলীয়া গ্রামটি আমার ইউনিয়নের দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত।২বছর আগে এই গ্রামটির মানুষদের চলাচলের জন্য একটি রাস্তা করা হয়েছিল।বন্যা ও ভারী বর্ষণে রাস্তাটি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কারসহ গ্রামটিতে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের চেষ্টা করবো। 

 


একুশে সংবাদ/সু.ব/এস.আই
 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর