সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

রামগঞ্জে স্কুল ভবন নির্মানে অনিয়ম’ ২ বছরের কাজ ৪ বছরেও শেষ হয়নি!

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:১১ পিএম, ২৫ জানুয়ারি, ২০২২
ছবি: একুশে সংবাদ

রামগঞ্জ লক্ষীপুর  প্রতিনিধি:  লক্ষীপুরের রামগঞ্জের দেবনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাইক্লোন সেন্টার কাম স্কুল ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে তিন বছর যাবত। অথচ কার্যাদেশ অনুযায়ী, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ওই ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনো ২৫ ভাগ কাজ শেষ হয়নি। ফলে পুরোনো দুই কক্ষের একটি ভবনেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বসা, পাঠদান নিয়ে বিপাকে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ঠিকাদারের এমন গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।  


সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ব্যাংকের ঋণের সহায়তায় ৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা বরাদ্ধকৃত সাইক্লোন সেন্টার কাম প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজ করছে নাভানা কনস্ট্রাকশন। কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে শুরু করে ২ বছরের মধ্যে ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু ঠিকাদারের কাজ শুরু থেকে গাফিলতির কারণে নির্মাণকাজের ২ বছরের শেষ করার কথা থাকলে ৪ বছরের শেষ হয়নি। 


২০ জানুয়ারী বেলা ১১টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একতলার ভবনের পিলার গুলি করা হয়েছে , অনেক দিন যাবত এ অবস্থায় থাকায় পিলাররের রড গুলিও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, স্কুল মাঠ জুড়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালামাল এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। নির্মাণকাজে নিয়োজিত ঠিকাদারের কোনো শ্রমিকেরও দেখা মেলেনি। ভবন নির্মাণের কার্যাদেশের পরিচিতি ফলকও নেই। পাশে  একতলা ভবনে দুই কক্ষে শিশু শ্রেনী থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদেরকে ঢাসাঢাসি ভাবে বসিয়ে চলছে পাঠাদান চলছে। 


বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মরিয়ম আক্তার বলেন, ৪ বছরে তৃতীয় তলা ভবনের মাত্র পিলার গুলি করা হয়েছে। বাকী কাজ কবে শেষ হবে এ অনিশ্চিয়তা মাঝে আছি। এ দিকে শিক্ষার্থীদের ক্লাশ রুমের সমস্যায় পাঠদান করাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারকে বার বার অবহিত করলেও কোন কাজ হচ্ছে না। 


ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নাভানা কনস্ট্রাক্টশনের ম্যানেজার চপ্পল দাস বলেন, কোপ্পানীর আর্থিক সংকট ও অফিসিয়াল সমস্যার কারনে কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু দিনের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে। 
 
জানতে চাইলে রামগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল হাসান বলেন, কাজের অবহেলার কারনে সরকার নাভানা কনস্ট্রাক্টশনের সাথে সরকার সাথে চুক্তি বাতিল করেছে, এখন পুনরায় দরপত্র আহবান করে নতুন ঠিকাদারের  মাধ্যমে কাজ শুরু করা হবে।

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর