সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

পীরগঞ্জে সোনালী ব্যাংকে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০১:৫৬ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

টাকা তুলা, চেক বই সংগ্রহ, হিসাবের ব্যালেন্স জানা, ভাতা উত্তোলন সহ নানা কাজে ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জ সোনালী ব্যাংকে আসা বেশির ভাগ গ্রাহকই হয়রানি শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক গ্রাহক।
সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের বরাবরে  এক গ্রাহকের লেখা ঐ অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সোনালী ব্যাংকের পীরগঞ্জ শাখায় তার একটি সঞ্চয়ী একাউন্ট রয়েছে। ঐ একাউন্টের জমা ও উত্তোলনের তথ্য পেতে এসএমএস কার্যক্রম চালু আছে। কয়েক বছর ধরে এসএমএস এর ভিত্তিতে লেন দেন করে আসছেন তিনি। গত ১৬ সেপ্টেম্বর টাকার দরকার পড়লে তার একাউন্টে কত টাকা আছে জানতে তিনি তার মোবাইলে এসএমএস চেক করে পাচ্ছিলেন না। এমতাবস্থায় ঐ দিন সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তিনি ব্যাংকে যান। ব্যাংকের চেক ডেবিট কাউন্টারে গিয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে চেকের একটি পাতা দিয়ে তার একাউন্টের ব্যালেন্স জানাতে অনুরোধ করেন। ব্যাংকের অফিসার চেকটি হাতে নিয়ে তাকে জানান “ ২৩০ টাকা লাগবে”। এত টাকা কেন- জানতে চাইলে তিনি উত্তরে বলেন “কেন জানেন না, ব্যালেন্স জানতে টাকা লাগে”। রাগান্বিত স্বরে এ কথা বলেই চেকটি তাকে ফেরত দেন। এর পর গ্রাহক চেকটি নিয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমানের কাছে গেলে তিনি কাউন্টারের কর্মকর্তা পক্ষ নিয়ে তার সাথে অশোভন আচড়ন করেন। টাকার দরকার থাকার পরও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অসহযোগীতার কারণে সেদিন তিনি টাকা তুলতে পারেননি।
এক গ্রাহক অভিযোগ, এর আগে তিনি কখনো ব্যালেন্স জানতে ব্যাংকে যাননি। প্রথম জানতে গেছেন। নিয়ম রয়েছে বছরে দুই বার ফি ছাড়াই একাউন্টের ব্যালেন্স জানা যাবে। ব্যাংকে দায়িত্ব প্রাপ্তরা এ নিময় মানছেন না বরং অশোভন আচড়ণ করছেন।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, ব্যাংকে টাকা তুলতে এসে তিনি দেখেন, মুখ চিনে সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে গ্রাহদের সাথে ব্যাংকের লোকজনের প্রায়ই বাক-বিতন্ডা হয়।
আলিম নামে ব্যাংকের অন্য এক গ্রাহক জানান, সোনালী ব্যাংকে সেবার নামে গ্রাহক হয়রানি করা হচ্ছে। কয়েক দিন আগে চেক বই তুলতে গিয়ে তার সাথে অহেতুক ঝামালা করেছেন ব্যাংকের লোকজন। আব্দুর রহমান নামে অরো এক গ্রাহক বলেন, সোনালী ব্যাংকে ভাল সেবা পাওয়া যায়না। অফিসাররা দুপুর এক টায় নামাজ ও খাওয়ার জন্য যায় আর আসেন আড়াইটায়।
এ বিষয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান বলেন, কিছু লোক তো অভিযোগ করবেই। নিয়ম মেনেই ব্যাংক পরিচালনা করা হচ্ছে। কোন গ্রাহককে হয়রানি করা হচ্ছে না। 

 

একুশে সংবাদ/মোঃ লাতিফুর রহমান লিমন /আ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর