সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

দৌলতপুরে ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:৪৪ পিএম, ২২ আগস্ট, ২০২১

পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বন্যা পরিস্থিতিতে সেখানকার মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন পার করছে। উপজেলার পদ্মা তীরবর্তী চরাঞ্চলের ৪ টি ইউনিয়নের ৪০টি গ্রামের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, আজ রবিবার (২২ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত পদ্মার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ১৯টি গ্রামের মধ্যে ১৭টি গ্রাম ও চিলমারী ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম ফিলিপনগরের ১ টি ও মরিচা ইউনিয়নের ২ টিসহ মোট ৪০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ঐ এলাকার প্রায় ৬০ হাজার মানুষ এখন পানিবন্দি।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড এর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুল হামিদ বলেন, অস্বাভাবিকভাবে গত কয়েকদিন ধরে  পানি বৃদ্ধির ফলে নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ভাঙনরোধে বিভিন্নস্থানে বালুর বস্তা ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

রামকৃষ্ণপুর ইউপির চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম জানান, বন্যার্ত মানুষের তুলনায় ত্রাণ সহায়তা একেবারে অপ্রতুল। তাছাড়া বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য ও পশু খাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
 
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুই দফায় ১২ হাজার বন্যার্ত পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এরমধ্যে দুটি ইউনিয়নে মাত্র এক হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, বন্যাকবলিত ৪ টি ইউনিয়নের প্রায় ৭ হাজার হেক্টর আবাদি জমি সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। এর কিছু অংশে পাট, আউশ ও আমন ধান এবং সবজি ক্ষেত ছিল।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার জানান, বন্যার্ত এলাকার প্রায় ১২ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১ হাজার পরিবারকে সহায়তা করা হয়েছে। আরও ১ হাজার পরিবারের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে। 

একুশে সংবাদ/বাবু

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর