লালমনিরহাট জেলা আওমাওমীলীগ সম্পাদকের বোনের বাড়িতে হামলার ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির নামে থানায় মামলা করাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়ে কমপক্ষে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে শহরজুড়ে।
শনিবার (১০ এপিল) দুুপুর ১ টায় লালমনিরহাট শহরের গোসলা বাজার এলাকায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় শহর জুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা।
এর আগে ৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে আগামী সোমবার লালমনিরহাটে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগের একাংশ। জেলা ছাত্রলীগ অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির পক্ষে লালমনিরহাট পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম পাপ্পু।
ছাত্রলীগ সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর সমর্থিত নেতাদের দাবী, প্রয়াত সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবু সাঈদ মো. দুলালের সমর্থক এবং সর্বসাধারণের সমর্থনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠছিলেন বক্কর । তাকে দমাতেই জেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান তার আপন বোনের বাড়িতে হামলা ও বোনকে আহত করার মিথ্যা নাটক সাজিয়ে জাবেদ হোসেন বক্করকে দায়ী করে শুক্রবার বিকেলে সদর থানায় একটি অভিযোগ দেন।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। শহর জুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/জা/আ