বহিরাগত এক দম্পতিকে ডেকে এনে স্বামীকে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করাসহ নানা দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। এ সময় ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করাসহ অন্যান্য দাবি জানান আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীর।
বিক্ষোভ মিছিলে প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগের শিক্ষক উপস্থিত আছেন।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো-ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অবৈধ শিক্ষার্থীদের হল থেকে দ্রুত বের করে দেয়া এবং প্রক্টর, প্রভোস্টের ভূমিকা স্পষ্টকরণ করা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, আমরা কয়েকটি দাবি জানিয়েছি। যতক্ষণ না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।
ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করাসহ নানা দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন। ছবি: সময় সংবাদ
আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে মামলা না করা পর্যন্ত সিন্ডিকেট বসতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হলের `এ` ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে হল সংলগ্ন পাশের জঙ্গলে নিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী আশুলিয়া থানায় ছয়জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়ছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, একই বিভাগের সাগর সিদ্দিকী ও হাসানুজ্জামান এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান।
পলাতক আছেন ভুক্তভোগীর পূর্বপরিচিত মো. মামুনুর রশিদ এবং স্বামীকে আটকে রাখায় সহায়তা ও মারধর করা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ। তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
একুশে সংবাদ/এনএস