সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বঙ্গবন্ধুর ছবি অবমাননাকে তুচ্ছ বিষয় বললেন কুবি শিক্ষক

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৭:৫৯ পিএম, ৩১ আগস্ট, ২০২২

ময়লার স্তুপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ফেলে রাখাকে তুচ্ছ বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী। ময়লার স্তুপে অযত্নে অবহেলায় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ফেলে রাখার ঘটনার বিচার না হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।

 

জানা যায়, গত এপ্রিল মাসের ১১ তারিখে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কলা ও মানবিক এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সিঁড়ির নিচে পরিত্যক্ত আসবাবপত্র, কাগজপত্রসহ জমে থাকা ময়লার স্তুপে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেসময় এ ঘটনার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তদন্ত সাক্ষেপে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।

 

তবে ঘটনার প্রায় পাঁচ মাস পরও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায় নি। এদিকে ছবি অবমাননার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ একাংশের সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইদুল আল-আমীন বলেন, ‘জাতির পিতার মত একজন সম্মানিত ব্যক্তি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি অবমাননায় ফেলে রাখা খুবই দুঃখজনক এবং অপমানজনক। আমি যতটুকু জানি ছবি পুরান হয়েছে তাই ফেলে দেওয়া হয়েছে, তবে ফেলে দেওয়ার ধরনটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যেখানে মানুষ পাড়ায় যাবে সেখানে এভাবে ছবি ফেলে দেওয়া খুবই অপমানজনক।’

 

বঙ্গবন্ধু পরিষদের আরেকাংশের সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, এটা অবশ্যই একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে ময়লার স্তুপে অবহেলায় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ফেলে রাখা হয়েছিল কি না আমি জানি না। এ বিষয়ে আমার জানা নাই। আমি মন্তব্য করতে পারছি না।

 

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি এভাবে অপমান করে ফেলে রাখার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে কেমন ধরনের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে সে ব্যাপারে আমি সন্দিহান। তাঁরা শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর নাম বলে বলে চলে, বাস্তবে বোঝা যায় কে কতটুকু বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে। ছাত্রলীগ কোনো কিছু বললে বিভিন্ন জায়গায় শুধু আমাদের নামে বিচার যায়। এখন আমরা এক প্রকার কণ্ঠরোধ। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আমাদের নামে বিচার দিয়ে কণ্ঠরোধ করে ছাত্রলীগকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে তাঁরা।

 

এ বিষয়ে  সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান এন. এম. রবিউল আউয়াল চৌধুরী বলেন, ‘এটা তুচ্ছ বিষয়, তুমি কেন এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে আসছো বিশ্ববিদ্যালয়ে এর চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে, সেগুলো নিয়ে কথা না বলে কে বঙ্গবন্ধুর ছবি ময়লার স্তুপে রেখেছে এটা এমন গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছি না।’

 

সার্বিক বিষয়ে কথা বলতে উপাচার্যের কার্যালয়ে একাধিকবার গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায় নি। গত বুধবার এ প্রতিবেদন লেখার সময় মুঠোফোনে উপাচার্যকে কল করলে তিনি বলেন, ‘আমার সামনে এখন ফাইল। এ মুহূর্তে কথা বলতে পারছি না।’

 

একুশে সংবাদ.কম/ই.ন.জা.হা

ক্যাম্পাস বিভাগের আরো খবর