সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দিশেহারা কৃষক

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:০৭ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৩

নেত্রকোণার মদন উপজেলায় ব্রি-২৮ জাতের বোরো ধানক্ষেতে ছত্রাকজনিত ব্লাস্ট রোগের দেখা দিয়েছে।

 

গত বছর বন্যায় বোরো ধানের ফলন হারানোর পর  এবছর বি-২৮জাতের বোরোতে ভরসা রাখা কৃষকদের এখন ঘিরে ধরেছে এই ধান হারানোর আশঙ্কাও। ফলে ঋণ পরিশোধের পাশাপাশি বছরের খাবার কীভাবে জুটবে, সেই দুঃশ্চিন্তায় কাটছে তাদের দিন।

 

স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর জানিয়েছে ব্লাস্ট রোগের প্রধান কারণ হলো আবহাওয়া জনিত তারতম্য। বিশেষ করে দিনে তাপমাত্রা বেশি আর রাতে ঠান্ডা পরায় এ রোগের সৃষ্টি।

 

এ রোগ অতিতেও ছিল তবে নিয়ম অনুযায়ী সঠিক সময়ে ছত্রাকনাশক ওষুধ প্রয়োগ করা হলে এরোগ থেকে পরিত্রান পাওয়া যেত।

 

এরোগ সাধারণত বি-২৮ জাতীয় ধানে বেশিরভাগ আক্রমণ করে। এ-জাতীয় দান দীর্ঘ দিন ধরে মাঠে থাকায় প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন হ্রাস পাওয়ার কারণে অধিক পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়াও মাত্রাতিরিক্ত  ইউরিয়া সার প্রয়োগে এরোগ সহজে আক্রমণ করে।

 

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে মদন উপজেলা ১৭ হাজার  ৩৫০হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি-২৮ জাতের ধান আবাদ হয়েছে ২৬ হাজার ৩৭  হেক্টর জমিতে। অন্য জাতের ফলন ভালো হলেও ব্রি-২৮ জাতের ক্ষেতে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে ব্লাস্ট রোগ। এতে অধিকাংশ জমির ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে গেছে। আক্রান্ত জমিতে শীষ থাকলেও তাতে নেই চাল।

 

মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাইদুল ইসলাম খান মামুন বলেন  বলেন, ‘আমার এলাকায় যারাই এবার ব্রি-২৮ জাতের বোরো ধান চাষ করেছেন, তাদের সবার ফসলই ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। 


এছাড়া উপজেলার সর্বত্র বহু ধানক্ষেতে ব্লাস্ট রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। মাগান গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম, গাটুয়া গ্রামের পারভেজ চৌধুরী, জানান যারাই আগাম জাতের ব্রি-২৮ ধান আবাদ করেছেন, তাদের সবার ক্ষেতেই এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।

 

এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে একমাত্র ফসল বোরো ধানের উপর নির্ভরশীল হাওর পাড়ের কৃষকগণ। মদন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, মদন উপজেলার বিভিন্ন হাওরে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত বোরোক্ষেতে সমস্যা সমাধানে নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও ছত্রাক নাশক স্প্রে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দু’বার করে জমিতে দিতে বলা হয়েছে। এটি আবহাওয়াজনিত রোগ। পাশাপাশি একই ধরনের ধানের আবাদ না করে যেসব জাতের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, তা আবাদের পরামর্শ শুরু থেকেই দিচ্ছি।

 

একুশে সংবাদ/সা.খা.প্রতি/এসএপি

কৃষি বিভাগের আরো খবর