সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

উল্লাপাড়ায় ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর নারীরা এখন মজুরী খাটছেন চুক্তিতে

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:৪৫ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সমতল ভূমির ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর (আদিবাসী) নারীরা এবারে বিঘা চুক্তিতে জমিতে বোরো (ইরি) ধান চারা লাগাচ্ছেন। এরা  বিঘা প্রতি এক হাজার টাকা চুক্তিতে দলবেধে মাঠে ধান চারা লাগানোর কাজ করছেন। এক জনের দিনে সাড়ে চারশো থেকে পাচশো টাকা মজুরীতে আয় হচ্ছে বলে জানা গেছে।

 

উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের বেলাই, ফাজিলনগর ও তেলিপাড়া গ্রামে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর প্রায় একশো পরিবারের বসবাস আছে বলে জানা গেছে। গ্রাম তিনটিতে বসতি সমতল ভূমির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাহাতো, মুন্ডারী গোত্রের পরিবারগুলো কৃষি পেশায় কাজ করে। পুরুষ শ্রমিকদের পাশাপাশি পরিবারের নারীরাও মাঠের কৃষি কাজ করেন। এখানকার ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর নারীরা মাঠের কাজে মজুরী বেচেন। এবারের মৌসুমে নারীদের প্রায় সবাই দিন হাজিরায় নয় এলাকার মাঠগুলোয় চুক্তিতে বোরো ধান চারা লাগাচ্ছেন।

 

সরেজমিনে গারেশ্বর মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, বেলাই গ্রামের বসতি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর নারীরা দলবেধে ধান চারা লাগাচ্ছেন। একই মাঠে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর  তিন দল নারী শ্রমিকদেরকে ধান চারা লাগাতে দেখা গেছে। এদের মধ্যে ছয় জনের একটি দল এক হাজার টাকা বিঘা চুক্তিতে জমিতে বোরো ধান চারা লাগাচ্ছেন। এদলে আছেন নারী শ্রমিক ভারতী মুন্ডারী, রাধিকা মুন্ডারী, কুমারী শাপলা মুন্ডারী, আরজু মুন্ডারী, অরুণা মুন্ডারী ও দীপালি মুন্ডারী। এরা জানায়, এবারের মৌসুমে ছয়জনে দলবেধে চুক্তিতে ধান চারা লাগাচ্ছেন। সকাল সাতটার দিকে কাজ শুরু করে বিকেল চারটা অবধি করেন। প্রায় বিঘা তিনেক জমিতে চারা লাগান। এতে দিনে সাড়ে চারশো থেকে পাচশো টাকা আয় হয়। আগে দিন হাজিরায় মজুরী বেচতেন। এখন চুক্তিতে কাজ করেন।  

 

প্রতিবেদককে এরা বলেন, একই মাঠে একই কাজ দিন হাজিরায় পুরুষ শ্রমিকদের চেয়ে তাদেরকে পঞ্চাশ থেকে একশো টাকা মজুরী কম দেওয়া হয়ে থাকে। একই উধুনিয়া ইউনিয়নের ফাজিলনগর গ্রামের আদিবাসী মাহাতো পদবীর নারী শ্রমিকদেরকে দলবেধে নিজ ফাজিলনগর গ্রামের মাঠে বিঘা চুক্তিতে জমিতে বোরো ধান চারা লাগাতে দেখা গেছে। এরা এক হাজার টাকা বিঘা চুক্তিতে ধান চারা লাগাচ্ছেন।

 

উপজেলার গ্রাম তিনটির আদিবাসী পরিবারের নারী শ্রমিকদের অনেকেরই কথায় তাদের বেশী জন এখন মাঠের বিভিন্ন কাজে তারা দিন হাজিরায় নয় চুক্তিতে কাজ করেন।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

কৃষি বিভাগের আরো খবর