সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মানিকগঞ্জে পেঁয়াজের ফলনে ও দামে খুশি কৃষক

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০১:৫৭ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে মানিকগঞ্জে। গত বছরের তুলনায় এ বছর পেঁয়াজ চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। মানিকগঞ্জ জেলায় এ বছর ৭ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে।

 

ঢাকা বিভাগের মধ্যে পেঁয়াজ উৎপাদনে মানিকগঞ্জ প্রথম স্থানে রয়েছে। জেলায় তিন ধরনের পেঁয়াজ চাষ হয়। মুড়িকাটা, হালি ও দানা পেঁয়াজ। এ জেলায় উৎপাদিত পেঁয়াজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশজুড়ে সরবরাহ করা হয়। চলতি মৌসুমেও ফলন হয়েছে বাম্পার।

 

এ বছর মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম ভালো থাকায় হাসি ফুটেছে মানিকগঞ্জের পেঁয়াজ চাষিদের মুখে। আর কৃষি বিভাগ বলছে, একই জমিতে দুই বার পেঁয়াজ আবাদ করে কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছে।

 

মানিকগঞ্জে মুড়িকাটা, হালি ও দানা এ তিন ধরনের পেঁয়াজের আবাদ হয়ে থাকে। জেলার কৃষকদের ঘরে এখন উঠছে আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজ।

 

সরেজমিনে হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের ঝিটকা শিকদারপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ পেঁয়াজের ক্ষেত। ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ তুলছেন কিছু কৃষক। আর সেই পেঁয়াজের পাতা ছাড়িয়ে বিক্রি উপযোগী করছেন কৃষাণি ও পরিবারের ছোটো ছোটো সদস্যরা।

 

ঝিটকা শিকদারপাড়া থেকে কৃষক সিরাজুল ইসলাম (৩৫) জানান, আমি ১ বিঘা জমিতে পিঁয়াজ চাষ করেছি আল্লাহ্ তায়া’লার রহমতে অনেক ভালো ফলন হয়েছে দামও ভালোই পাচ্ছি। আমার এ বছর প্রতি শতাংশ জমিতে প্রায় আরাই মন (৬০ কেজি) পেঁয়াজ হয়েছে।

 

উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কোটকান্দি গ্রামের কৃষক ফজলু প্রামানিক (৫৭) জানান, এক বিঘা জমিতে এ বছরে পেঁয়াজ আবাদ প্রায় ৬০ মন। বর্তমানে ভালো মানের পেয়াজ ১১০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করছি। এছাড়াও বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা মন বিক্রয় হয়।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলার উপপরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ জানান, এ জেলায় মোট ৭ হাজার হেক্টর জমিতে পেয়াজ চাষ করা হয়েছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ চাষ হয়েছে হরিরামপুর, শিবালয়ে ও ঘিওর উপজেলায়।

 

এছাড়াও বাকি উপজেলাতেও পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। ভালো ফলনের পাশাপাশি বাজারে ভালো দাম পাচ্ছে কৃষক। এছাড়া পেঁয়াজের ফলন বাড়াতে ও ভালো দাম পাওয়াতে কৃষকরা খুশি।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

কৃষি বিভাগের আরো খবর