সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সংস্কারের অভাবে অকেজো মালিঝি নদীর স্লুইচ গেইটটি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:৪৬ পিএম, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের মালিঝি নদীর উপর নির্মিত বিধ্বস্ত স্লুইচ গেইটটি সংস্কার সম্প্রসারনের অভাবে কোনো কাজে আসছে না কৃষকদের। ফলে সরকারি উদ্যোগ ব্যাহত হবার পাশাপাশি কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছে স্লুইচ গেইটের সুফল থেকে।

 

স্থানীয় কৃষকরা জানান, কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও কৃষকদের সেচ সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯৮৬ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড মালিঝি নদীর ঘাগড়া-নয়াপাড়ায় প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে ওই স্লুইচ গেইটটি নির্মাণ করে। এ সময় স্লুইচ গেইটের পাশে প্রায় ৫ একর জমি ও অধিগ্রহণ করা হয়। ওই স্লুইচ গেইটটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি ভবণও নির্মাণ করা হয়। এ ভবণে একজন কর্মচারীকেও নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু স্লুইচ গেইটটি নির্মাণের এক বছর যেতে না যেতেই পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে তা বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে।

 

এরপর স্লুইচ গেইটটি আর সংস্কার করা হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োগকৃত ওই কর্মচারী কিছুদিন এখানে অবস্থানের পর সেও চলে যান। এরপর থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত স্লুইচ গেইট ভবণসহ অধিগ্রহণকৃত জমিগুলো বেদখল হতে শুরু করে। বর্তমানে তা অন্যের দখলে রয়েছে। যা সংরক্ষণের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। পুন:নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি বিধ্বস্ত স্লুইচ গেইটটিও। ফলে যে উদ্দেশ্য নিয়ে স্লুইচ গেইটটি নির্মাণ করা হয়েছিল তা আর বাস্তবায়িত হয়নি।

 

হাতিবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন ও স্থানীয় কৃষকরা জানান, ওই স্লুইচ গেইটটি সংস্কার অথবা এখানে একটি রাবার ড্যাম নির্মাণ করা হলেও কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে।

 

তিনি আরো বলেন, বিধ্বস্ত স্লুইচ গেইটটি সংস্কার অথবা পুনঃনির্মাণ করা হলে। এলাকার কৃষকদের দীর্ঘদিনের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে। কৃষকরা পাবে স্বল্প মূল্যে পানি ও সেচ সুবিধা।

 

উপজেলা চেয়ারম্যান এসএমএ ওয়ারেজ নাইম বলেন, বিধ্বস্ত স্লুইচ গেইটটি পুনঃ নির্মাণ করার জন্য বিভিন্ন সভা-সেমিনারে আলোচনাও করা হয়েছে। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি।

 

শেরপুর কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের খামার বাড়ির উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবির বলেন, বিধ্বস্ত স্লুইচ গেইটটি পুনঃ নির্মান করা হলে করা হলে কৃষকরা স্বল্প মূল্যে সেচ সুবিধা। কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধিত হবে। হবে কৃষকদের ভাগ্যের উন্নয়ন।

 

তিনি আরো বলেন, এক ও দু’ফসলী জমিগুলো অধিক ফসলী জমিতে পরিণত হবে। এতে প্রায় ২ হাজার কৃষক ৫শত হেক্টর জমি অধিক ফলনশীল জমিতে পরিণত হবে।

 

শেরপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মোঃ শাহজাহান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন স্লুইচ গেইটটি পুনঃনির্মানের বিষয়সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেদখলীয় জমি উদ্ধারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে। নির্দেশনা পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

একুশে সংবাদ/রা.হা.প্রতি/পলাশ

কৃষি বিভাগের আরো খবর