সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমন আবাদ, সারের দাম বৃদ্ধিতে শঙ্কিত চাষিরা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:০৩ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ফরিদপুরে চলতি আমন ধান আবাদ মৌসুমে সরকারি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ছয় হাজার হেক্টর বেশি আবাদ হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে খুচরা বাজারে ইউরিয়া সারের দর বেড়ে যাওয়ায় কাঙ্খিত উৎপাদন নিয়ে শঙ্কিত জেলার চাষিরা।

জেলার ৯ উপজেলাতে মাসিক ইউরিয়া সারের চাহিদা তুলনায় সরবরাহ হয়েছে অর্ধেক। যে কারণে খুচরা বাজারের এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. হযরত আলী জানান, চলতি আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৪ হাজার ৬৫০ হেক্টর। কিন্তু সেখানে আবাদ হয়েছে ৭০ হাজার ২৯৪ হেক্টর।

তিনি জানান, চারা রোপনের সময় সার কিটনাশকের দাম স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু কয়েক দিন হলো হঠাৎ করেই খুচরা বাজারে ইউরিয়ার সারের দর কিছু বেড়েছে। তবে এই দর বেশি দিন থাকবে না বলে জানান এই কর্মকর্তা।

তিনি জানান, আমন মৌসুমে আগস্ট মাসের ইউরিয়া সারের চাহিদা ছিল ৫ হাজার ২০০ মেট্রিক টন এবং সেপ্টেম্বর মাসের চাহিদা ৪ হাজার ৫০২ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে সরবরাহ হয়েছে ৫ হাজার ৭০২ মেট্রিক টন।

ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের জান্দি গ্রামের কৃষক মো. নাসিম মোল্লা প্রতি বস্তা ইউরিয়া সার কিনেছেন ৯০০ টাকা দরে। গত কয়েকদিন আগে তিনি ইউনিয়নের উচা বাজার থেকে ওই সার কেনেন। ১৬ টাকার বদলে প্রতি কেজি ১৮ টাকা দরে কিনেছেন। নাসির মোল্লা বলেন, কেজিপ্রতি দুই টাকা করে বেশি নেওয়া হচ্ছে।

নগরকান্দা উপজেলার ফুলসূতী ইউনিয়নের বাউতিপাড়া গ্রামের কৃষক বরুণ মণ্ডল বলেন, প্রতি বস্তা সার ৯২৫ থেকে ৯৫০ টাকায় কিনতে হয়েছে।

ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের ডোমরাকান্দি এলাকার চাষি নিজাম খলিফা বলেন, বাজারে সারের ঘাটতি রয়েছে। যে কারণে কেজিতে তিন থেকে চার টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। বাধ্য হয়ে সার কম কিনেছি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলায় সারের ডিলার আছেন ৯৬ জন। খুচরা সারবিক্রেতা আছেন ৭২৯ জন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, ফরিদপুরে বছরে ইউরিয়ার চাহিদা ৭৭ হাজার মেট্রিক টন।

শহরের টেপাখোলা মহল্লার খুচরা সারবিক্রেতা মেসার্স মৃধা ট্রেডার্সের মো. লিটন মৃধা বলেন, হয়তো ডিলারদের কারসাজিতে সারের দাম বাড়ছে। উপায় না পেয়ে কৃষকেরা বেশি দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

স্থানীয় ডিলার আবু সাঈদের ব্যবস্থাপক রুহুল আমিন বলেন, তারা বেশি দামে সার বিক্রি করেন না। তবে মাঝেমধ্যে সারের সরবরাহ পেতে সমস্যা হয়।

বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের ফরিদপুর শাখার সভাপতি আব্দুস সালাম বাবু বলেন, ডিলার পর্যায়ে সারের দর কম-বেশি হয়নি। তবে খুচরা বাজারে কিছুটা দর বেড়েছে।

 

 

একুশে সংবাদ/রাশেদুল হাসান কাজল /আ

কৃষি বিভাগের আরো খবর