সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সালথায় পেঁয়াজ পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:৫৮ পিএম, ২৩ জানুয়ারি, ২০২১

হালি পেঁয়াজ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ফরিদপুরের সালথার চাষীরা। ভোক্তা চাহিদা সম্পন্ন পেঁয়াজ চাষীদের অর্থকরী মসলা জাতীয় ফসল হওয়ায় পেঁয়াজ চাষ করে বছরের অর্থনৈতিক চাহিদা মিটিয়ে থাকেন তারা। বর্তমান বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় লাভের আশায় সালথার চাষীরা পেঁয়াজ চাষ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। 

চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা পরিমানে মোট আবাদি জমির ৮৮ শতাংশ। আগের চেয়ে এবার উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে পেঁয়াজের চাষাবাদ বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি হালি পেঁয়াজ চাষ হয়ে থাকে জেলার এ উপজেলায়। 

সরেজমিনে পেঁয়াজ ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, হালি পেঁয়াজের সবুজ গাছে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ। ঠান্ড ও কুয়াশা উপেক্ষা করে খুব সকালে শ্রমিকরা টেঙ্গি হাতে নিয়ে পেঁয়াজ ক্ষেত পরিচর্যা কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। পেঁয়াজের চারাগুলোর গোঁড়ের দিকে টেঙ্গি দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে মাটি আগলা করে দিচ্ছেন। যাতে তারাতারি চারা গাছগুলো থেকে পেঁয়াজের গুটি নামতে শুরু করে। এ ছাড়া পেঁয়াজ ক্ষেতের ভিতরের ঘাস ও আবর্জনা পরিস্কার করছেন তারা।  

উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের বাঙরাইল গ্রামের পেঁয়াজ চাষী জালাল মোল্য জানান, এ বছর হালি পেঁয়াজের বীজের দাম বেশি হওয়ায় চাষে খরচ বেশি হচ্ছে। বাজার মূল্য ৫০ টাকা কেজির কম হলে পেঁয়াজ চাষে লোকসান গুনতে হবে। ভাওয়াল গ্রামের পেঁয়াজ চাষী আবুল হাসান বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবার পেঁয়াজের ফলন ভাল হবে বলে আশা করছি। পুরুরা গ্রামের ফারুন হোসেন বলেন, সার কীটনাশক, পানি ও সময় মতো রক্ষনাবেক্ষন করতে অনেক খরচ হয়। যার কারনে পেঁয়াজের দাম অনুকূলে থাকলে আমরা পরিবারের লোকজন নিয়ে খেয়ে-পড়ে ভাল থাকতে পারবো। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জীবাংশু দাস বলেন, পেঁয়াজ চাষিদের বীজ ও সারসহ প্রয়োজনীয় প্রণোদনা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পেঁয়াজ চাষ ভাল হচ্ছে এবং ফলনও ভাল হবে বলে আশা করি।


একুশে ষংবাদ/ শ.ই/এস

কৃষি বিভাগের আরো খবর