সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরপুর সিলেট ভ্রমণ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:৪২ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

দেশের ভ্রমণের জনপ্রিয় এরাগুলোর মধ্যে সিলেট অন্যতম। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভরপুর সিলেট জেলার আনাচে কানাচে রয়েছে অনেক সুন্দর স্থান। তারই মধ্যে জাফলং, বিছনাকান্দি, পান্থুমাই ও রাতারগুল বর্তমানে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ।

 

কোন সময় যাবেন

এই জায়গাগুলোতে ভ্রমণের সবচেয়ে ভালো সময় হচ্ছে বর্ষাকাল ও তার পরবর্তী সময় অর্থাৎ জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস।

 

যেভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে বাসে, ট্রেনে অথবা বিমানে সিলেট আসতে পারবেন। আপনি যদি সিলেট এর বাইরে থেকে ঘুরতে যান তাহলে প্রথমেই সিলেট চলে আসুন।

ঢাকা থেকে ট্রেনে সিলেট : ট্রেনে যেতে চাইলে ঢাকা কমলাপুর স্টেশন থেকে উপবন এক্সপ্রেস ৯:৫০ মিনিটে (বুধবার বন্ধ) ছেড়ে সিলেট ভোর ৫ থেকে ৬ টা চলে আসে।

ঢাকা থেকে বাসে সিলেট: ফকিরাপুল, সায়দাবাদ ও মহাখালী বাস স্টেশন থেকে গ্রীন লাইন, সৌদিয়া, এস আলম, শ্যামলি ও এনা পরিবহনের এসি বাস যাতায়াত করে।  

 

জাফলং

 


প্রকৃতি কন্যা হিসাবে সারাদেশে এক নামে পরিচিত সিলেটের জাফলং।খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত জাফলং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপলীলাভূমি। পিয়াইন নদীর তীরে স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ জাফলংকে করেছেআকর্ষণীয়। সীমান্তের ওপারে ইনডিয়ান পাহাড় টিলা, ডাউকি পাহাড় থেকে অবিরামধারায় প্রবাহমান জলপ্রপাত, ঝুলন্ত ডাউকি ব্রীজ, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ হিমেলপানি,উঁচু পাহাড়ে গহিন অরণ্য ও শুনশান নিরবতার কারণে এলাকাটি পর্যটকদেরদারুণভাবে মোহাবিষ্ট করে। এসব দৃশ্যপট দেখতে প্রতিদিনই দেশী-বিদেশীপর্যটকরা ছুটে আসেন এখানে।

 

বিছনাকান্দি

 

 

বিছনাকান্দি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নে অবস্থিত জলপাথরের বিছানার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি পাথর কোয়ারী। পর্যটকদের কাছে বিছানাকান্দির মূল আকর্ষন হচ্ছে পাথরের উপর দিয়ে বয়ে চলা স্বচ্ছ জলধারা আর পাহাড়ে পাহাড়ে শুভ্র মেঘের উড়াউড়ি। প্রথম দেখায় আপনার মনে হবে এ যেন এক পাথরের বিছানা, আর স্বচ্ছ পানিতে গা এলিয়ে দিতেই যে মানসিক প্রশান্তি পাবেন এই প্রশান্তি আপনাকে বিছানাকান্দি টেনে নিয়ে যাবে বারবার।

 

পান্তুমাই ঝর্ণা

 

পান্তুমাই ঝর্ণা গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের একটি গ্রামে অবস্থিত। বিছনকান্দি থেকে সহজেই নৌকায় যাওয়া যায় এই ঝর্ণার কাছে। তবে ঝর্ণাটির মূল অবস্থান ভারতের মধ্যে। যা বড়হিল ঝর্ণা নামে পরিচিত। ভারতে অবস্থিত হলেও বাংলাদেশের খুব কাছ থেকে গিয়ে দেখা যায় এই ঝর্ণা।

 

রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট

 

রাতারগুল বাংলাদেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট  যা সিলেট জেলা শহর থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। ৩০,৩২৫ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এলাকার ৫০৪ একর জায়গায় রয়েছে বন আর বাকি জায়গা ছোট বড় জলাশয়ে পূর্ণ। তবে বর্ষায় পুরো এলাকাটিকেই দেখতে একই রকম মনে হয়। এই রাতারগুল জলাবন বছরে চার থেকে পাঁচ মাস পানির নিচে তলিয়ে থাকা। অনেক পর্যটক রাতারগুলকে বাংলাদেশের আমাজন বলেও ডাকেন।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি/

পর্যটন বিভাগের আরো খবর