সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

পানির বুকে ভেসে বেড়াতে চলে আসুন সাভার কায়াকিং পয়েন্টে

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০১:২৩ পিএম, ২০ অক্টোবর, ২০২১

নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ হলেও আমাদের অনেকেরই নদীর কাছাকাছি থাকার সুযোগ হয় না। বছরান্তে শহর ছেড়ে দাদা-নানার বাড়ি গিয়ে নদীর দেখা পেলেও নৌকায় ওঠা বা নৌকা চালানো হয় না। দেখে নৌকা চালানো যত সহজ মনে হয় আসলে কাজটি সহজ নয়। দক্ষ মাঝি হতে হলে শুরুতে অনুশীলনের প্রয়োজন রয়েছে। আপনি চাইলে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ পরিবেশে আনন্দের সঙ্গেই কাজটি শিখতে পারেন।

আপনি চাইলেই ছুটির দিনে আমাদের কায়াকিং এ এসে ঘুরে যেতে পারেন। আমাদের এখানে প্রতিদিন সকাল ৭.০০ ঘটিকায় থেকে রাত ৭.০০ ঘটিকায় পর্যন্ত কায়াকিং করা যায়। আমাদের কায়াকিং এর ঠিকানা হচ্ছে গাবতলি পার হয়ে আমিন বাজার নেমে রিক্সায় ২০ টাকা ভাড়া দিয়ে কায়াকিং পয়েন্টে চলে আসতে পারবে। এছাড়া সরাসরি সাভার গামী বাসে মধুমতি মডেল টাউন তুরাগ ব্রিজ সংলগ্ন নেমে ব্রিজ থেকে দেখতে পাবেন কায়াকিং পয়েন্ট। এছাড়াও আপনি কায়াকিং এর পাশাপাশি রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করার সুযোগও রয়েছে। আপনি চাইলে বিভিন্ন আইটেমের খাবারও খেতে পারবেন। 

আমাদের এখানে কায়াকিং এর মূল্য হল, ১৫ মিনিটের জন্য ৫০ টাকা, ৩০ মিনিট ৮০ টাকা, ৬০ মিনিট ১৫০ টাকা জনপ্রতি। পঞ্চাশোর্ধ সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সকাল বেলা ২ ঘন্টা ফ্রি। যে কোন প্রয়োজনে যোগাযোগ করুণ: মীর আল আমিন, মোবাইল: ০১৮২১৪৫৯৬০৪/০১৮৬০৪৮০২৬৩ ।

বাংলাদেশে কায়াকিং-এ খরচ
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কায়াকিং পয়েন্ট। এর মধ্যে ঢাকার ‘ইয়াস কায়াকিং পয়েন্ট, সাভার কায়াকিং,  নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মেঘনার বুকে কায়াকিং, কাপ্তাই হ্রদে কায়াকিং, মহামায়া লেকে কায়াকিং, কর্ণফুলীতে কায়াকিং, ভোলা কায়াকিং পয়েন্টে কায়াকিং করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের সব কায়াকিং বেসরকারি ব্যক্তি উদ্যোগে বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত। সাধারণত ঘণ্টা হিসেবে বা দিনব্যাপী ভাড়া নিয়ে কায়াক চালানো যায়। একেকটি কায়াক পয়েন্টের খরচ একেক রকম। তবে স্থান ভেদে প্রতি ঘণ্টায় গুণতে হতে পারে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা। আর সকাল থেকে সন্ধ্যা (৮-১০ ঘণ্টা) অবধি ভাড়া নিলে লাগবে দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা।  

যেভাবে কায়াকিং করবেন
কায়াক চালানোর কৌশল একবার রপ্ত করতে পারলে আর বেগ পেতে হয় না। কেবল নৌকা ডানে ও বামে ঘোরানোর কৌশল রপ্ত করলেই আনন্দে ঘুরতে পারবেন পানির বুকে। এ দেশে ব্যবহৃত কায়াকে সাধারণত দুই থেকে তিনজনের আসন থাকে। যে কজন চালকই থাকুন না কেন, একই দিকে মুখ করে বসুন। একই তালে বৈঠা চালানোর চেষ্টা করুন। কায়াকের দুই পাশের পানিতে সমান তালে বৈঠা চালান। পানির অনেক গভীরে বৈঠা ডোবাতে হবে না। বরং পানির উপরিভাগে বৈঠা চালালেই কায়াক এগিয়ে যাবে। এতে চালানো সহজ ও আনন্দদায়ক হবে। 

সতর্কতা
১. কায়াকিং করতে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট সঙ্গে রাখতে হবে ২. নদী বা সমুদ্রে কায়াকিং-এর সময় বাতাসের গতি, জোয়ার-ভাটা, ঢেউ, আশপাশের জলযান নজরে রাখুন  ৩. বৈরী আবহাওয়ায় কায়াকিং থেকে বিরত থাকুন ৪. কায়াকিং-এ যতটা সম্ভব সতকর্তার সঙ্গে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহার বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই এ সময় সেলফি তোলা, লাইভ করা, কিংবা ফোনে কথা বলা থেকে নিজেকে সংযত রাখুন।  ৫. কায়াক বোটে বসে খেয়ে প্যাকেট, ময়লা, প্লাস্টিক, কাগজ, পানির বোতল ইত্যাদি পানিতে ফেলে পরিবেশ ও পানি দূষণ করবেন না।

একুশে সংবাদ/রনি

পর্যটন বিভাগের আরো খবর