সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঘুরে আসুন মনপুরা দখিনা হাওয়া সি বিচ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১১:১২ এএম, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

সৌন্দর্যের লীলাভূমি মনপুরা দখিনা হাওয়া সি বিচ। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঘুরে আসতে পারেন এই বিচে।

মেঘনা ও বঙ্গোপসাগরের মিলনস্থলে ঢেউয়ের তোড়ে জেগে ওঠা এই বিচ এক কিলোমিটার দীর্ঘ বালুকাময় সমুদ্রসৈকত। পাশ দিয়ে দীর্ঘ ম্যানগ্রোভ বন।  সেখানে সবুজের সমারোহের পাশাপাশি মায়াবি হরিণের পদচারণা আর অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর থাকে বছরজুড়ে।

মনে হয় যেন প্রকৃতি তার আপন মনে সেজেছে। অপরুপ সৌন্দর্য, দেখলে দৃষ্টি জুড়িয়ে যায়।এখানে নীল আকাশ আর সাগরের ঢেউয়ের মিলনমেলা দেখা যায়। কক্সবাজার কিংবা কুয়াকাটা থেকে ভিন্ন এই বিচে প্রতিদিন হাজারো পর্যাটকের ঢল নামে।

নীল আকাশ, জলরাশি, ম্যানগ্রোভ বন, হরিণ, অতিথি পাখি আর সূর্যোদয় ও অস্ত যাওয়ার অপরূপ দৃশ্য অবলোকন করা যায়।

ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরার সর্বদক্ষিণে দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামের বঙ্গোপসাগরসংলগ্ন মেঘনা পাড়ের এক কিলোমিটার নতুন সমুদ্রসৈকতের।  স্থানীয়রা যার নাম দিয়েছে ‘দখিনা হাওয়া সি বিচ’।

প্রতিনিয়ত এই ট্যুরিস্ট স্পটে ঘুরতে আসেন হাজারও পর্যটক।

কীভাবে যাবেন

ঢাকার সদরঘাট থেকে বিকাল ৫টায় এমভি ফারহান ও সাড়ে ৫টায় এফবি তাসরিফ লঞ্চে ডেকে ৩৫০ টাকা ও কেবিনে এক হাজার ২০০ টাকায় সরাসরি মনপুরায় আসতে পারেন।

এ ছাড়া বরিশাল থেকে লঞ্চযোগে ভোলার ভেদুরিয়া হয়ে বাসযোগে তজুমুদ্দিন সি ট্রাক ঘাট। সেখান থেকে লঞ্চে সন্ধ্যায় মনপুরা।

অপরদিকে ভোলার ভেদুরিয়া থেকে বাসযোগে চরফ্যাশন লঞ্চঘাট। সেখান থেকে লঞ্চ করে সরাসরি মনপুরার জনতাঘাট হয়ে দখিনা হাওয়া সি বিচে যেতে পারেন।

পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার 

সি বিচসংলগ্ন থাকার ব্যবস্থা নেই। তবে উপজেলা শহরে জেলা পরিষদের চারতলা ও দোতলা দুটি ডাকবাংলো এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের রয়েছে একটি ডাকবাংলো। এ ছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে উঠেছে আধুনিক আবাসিক হোটেল।

পর্যটন বিভাগের আরো খবর