সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০১:০৭ পিএম, ১ জানুয়ারি, ২০২১

দেশ ব্যাপী চলছে কোভিড ১৯ এর দ্বিতীয় ধাপ। রয়েছে মানুষের মাঝে অজানা আতঙ্ক। এ বছরে সাগরকন্যা খ্যাত পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় থার্টি ফার্স্ট নাইটের নেই কোনো আয়োজন।

তারপরও বছরের শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় এবং নতুন সূর্যদয়কে বরন করতে ভীড় জমিয়েছে হাজারো পর্যটক। সমুদ্রের ঢেউয়ে সাতার কাটাসহ দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকত জুড়ে পর্যটকরা নেচে গেয়ে প্রিয়জনের সাথে উন্মাদনায় মেতেছেন। বাড়তি পর্যটকদের আনাগোনায় প্রানচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে কুয়াকাটায়। 

এদিকে পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমনে টুরিষ্ট্য পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশের সমন্বয়ে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তবে সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক ব্যবহারে প্রশাসন তৎপর থাকলেও পর্যটকরা ছিল উদাসীন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সৈকতের জিরো পয়েন্ট, লেম্বুর চর, ঝাউবন, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর, মিশ্রিপাড়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন পল্লী এবং শুটকী পল্লীসহ দর্শনীয় স্পটে রয়েছে পর্যটকদের উচ্ছাসিত উপস্থিতি। কেউ নিজের স্মর্ট ফোনে সেলফী তুলছে। আবার কেউ বা গান, গল্প আড্ডায় মেতে রয়েছে। তবে এই সৈকতে দাঁড়িয়ে বছরের শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় জানাতে প্রতিবছর ছুটে আসেন হাজার হাজার পর্যটক।

এদিকে প্রতিবছর ইংরেজি পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয় হোটেল ও মোটেল গুলোকে। কিন্তু এ বছর তা চোখে পড়ছে না। তবে হোটেল-মোটেলে রুম বুকিং বেড়েছে। মহামারি করোনা কাটিয়ে একটি সুন্দর বছর পাওয়ার প্রত্যাশা করেছে স্থানীয় হোটেল মোটেল মালিক।

কুয়াকাটায় আসা নসুরুল আলম ও শিলভিয়া সাফা বলেন, এইতে ক’দিন আগে আমেদের বিয়ে হয়েছে। দু’জনের সিদ্ধান্ত ছিলে ২১ সালে প্রথম দিন টা কুয়াকাটা কাটাবো। তাই তো বৃহস্পতিবার সকালে এখানে এসে পৌঁছেছি। দুপুরে হোটেলের রুম থেকে বেড়িয়ে বিভিন্ন স্পর্ট ঘুরেছি। এখাকানর পরিবেশ খুবই ভাল। অপর এক ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকায় থেকে আসা পর্যটক সুমনা ইসলাম বলেন, এর আগেও কুয়াকাটায় এসেছি। এবছর ফ্যামিলীসহ ইংরেজি পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এখানে এসেছি।


  
কুয়াকাটা ইলিশ পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচলাক রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটের নেই কোনো আয়োজন। তার পরও ব্যাপক পর্যটকরে চাপ রয়েছে। আমারাও সাধ্যমত সেবা দিচ্ছি। 

এদিকে আবাসিক হোটেল খাঁন প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.রাসেল খাঁন জানান, নতুন বছরকে সামনে রেখে আমাদের হোটেলের রুম বুকিংয়ে ছাড় দেয়া হয়েছে।

অভিজাত হোটেল সিকদার রিসোর্টে এন্ড ভিলা’র জেনারেল ম্যানেজার ফয়সাল মাহমুদ চৌধুরি জানান,আমাদের হোটেলের রিজার্ভেশনের  উপর  আজকের  জন্য ৫০% ছাড় রয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ বিধি মেনে নতুন বছরকে সামনে রেখে বারবিকিউ পার্টিও রয়েছে।

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন'র সেক্রেটারি জানান, আমাদের হোটেলকে নতুন করে সাজিয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা গেস্ট রাখছি।

কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটারস এ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) এর সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, বিশেষ দিনগুলোতে কুয়কাটায় পর্যটকদের চাপ বেশি থাকে। নতুন বছর উপলক্ষে গত দুই দিন ধরে পর্যটকদের আগমন বেড়ে গেছে।

কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের এএসপি এম এম মিজানুর রহমান বলেন, আগত পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমনে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ দর্শনীয় স্থানে ট্যুরিষ্ট পুলিশের সদস্যদের টহল অব্যাহত রয়েছে। জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে পূর্ব দিকে গঙ্গামতি, পশ্চিম দিকে লেম্বুর বন পর্যন্ত আমাদের ট্যুরিষ্ট পুলিশ থাকবে। মোবাইল টিম ও রেসকিউ টিমও নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে।


একুশে সংবাদ/শা.বে/এস
 

পর্যটন বিভাগের আরো খবর