সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

পদ্মা সেতু শুধু দেশে নয় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের নতুন ব্র্যান্ড: বাংলাদেশ হাইকমিশনার 

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:২৮ পিএম, ২৫ জুন, ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

পদ্মাসেতু উদ্বোধনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছিলো ততই মালদ্বীপে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে উদ্দীপনা বিরাজ করছিলো। মালদ্বীপে কর্মরত নানা পেশার মানুষের কাছে পদ্মা সেতু একটি বিস্ময়। এ প্রকল্পটি শুধু বাংলাদেশিদের বিশ্বাসের ভিত রচনা করেনি, বরং যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে বিশ্বাস করেন দীর্ঘদিন মালদ্বীপে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

শনিবার (২৫শে জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৯ টায় পদ্মাসেতুর উদ্বোধন ক্ষনে মালদ্বীপে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে  আয়োজিত হয় প্রবাসীদের জন্য কেক কেটে আনন্দ উৎসব উদযাপন।

এমন উৎসব মুখর পরিবেশে মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ প্রবাসীদের উল্লেখ করে বলেন, বহুকাঙ্খিত ও প্রত্যাশিত বাঙালির আজন্ম স্বপ্নের পদ্মাসেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে সমগ্র প্রবাসী বাংলাদেশিরা এর অংশীদারিত্ব। তিনি আরও বলেন যার অসীম সাহসিকতা আর অপ্রতিরোধ্য মানসিকতায় বাস্তবায়ণ হয়েছে পদ্মা সেতু, তিনি আর কেউন'ন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবং পদ্মা সেতু শুধু দেশে নয় বহির্বিশ্বেও বাংলাদেশের নতুন ব্র্যান্ড।

শুরুতে দূতাবাসের কর্মকর্তা বৃন্দ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রদর্শন ও দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) জনাব মোঃ সোহেল পারভেজ প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করে শোনান এবং দূতাবাসের সাম্প্রতিক কার্যক্রম ও পদ্মা সেতুর ওপর নির্মিত একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও মালদ্বীপ আওয়ামিলীগের সভাপতি আলহাজ্ব দুলাল মাতবর এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ দুলাল হোসেন। এছাড়াও, দূতাবাসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ, এনবিএল মানি ট্রান্সফার প্রাইভেট লিমিটের কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ, বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ, প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, শিক্ষক, চিকিৎসক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিবর্গ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্যবর হাইকমিশনার বলেন, মাওয়া বা জাজিরা প্রান্তে গিয়ে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দৃশ্য হয়তো দেখার সৌভাগ্য হবে না মালদ্বীপ প্রবাসীদের। কিন্তু হাজার মাইল দূরে থেকে টেলিভিশনের পর্দায় সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় তারাও দিন গুনছিলেন। আজ সেই দিনক্ষণের উপলক্ষে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দূতাবাসে এসে জড়ো হয়ে উৎসবে মাতেন কর্মজীবি প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তিনি আরও বলেন, প্রবাসীদের এখানে বড় একটা ভূমিকা আছে। বিশ্ব বাংলাদেশের যে আত্মমর্যাদা তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আজ।

প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখার জন্য মালদ্বীপের বিভিন্ন স্থানে নেয়া হয়েছিল নানা উদ্যোগ। যেমনটি মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট গুলোতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানোর জন্য বড় পর্দার আয়োজন ছিলো উল্লেখযোগ্য হারে। এবং সকাল থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা প্রবাসীদের ভীড় ছিলো এ সকল রেস্টুরেন্ট গুলোতে একনজরে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখার জন্য। এ নিয়ে উচ্ছ্বসিতও প্রকাশ করতে দেখা যায় বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা আগন্তুক প্রবাসীদের মাঝে। 

সবশেষে, মান্যবর হাইকমিশনার বলেন, পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের পেছনে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের অবদান অনেক বেশি। আগামীতে পদ্মা সেতুর মতো যে কোনো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়াও উপস্থিত অতিথিবৃন্দদের নিয়ে কেক কেটে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপন ও আপ্যায়ন শেষে তিনি প্রবাসীদের সুস্থ থাকা ও সুন্দর জীবন কামনা করে উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

 

 

 

একুশে সংবাদ/ও.অ/এস.আই

 

প্রবাস বিভাগের আরো খবর