সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ব্রিটেনে খ্রিস্টমাস উপলক্ষে একসাথে মিলিত হতে পারবে ৩ পরিবার

প্রকাশিত: ১০:২৫ এএম, ২৮ নভেম্বর, ২০২০

ব্রিটেনে লকডাউন তুলে নিলেও বড় পরিসর গেদারিং করার সুযোগ নেই। সবাইকে সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। তবে বড় দিন উপলক্ষে ২৩শে ডিসেম্বর থেকে ২৭শে ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত এক সাথে তিন পরিবার মিলিত হতে পারবেন। 

নিম্নের নিয়মগুলি অবশ্যই মেনে চলতে হবে:

১. ২৩শে থেকে ২৭শে ডিসেম্বর ২০২০ এক সাথে নিকট আত্বীয় সর্বোচ্চ তিন পরিবার একত্রিত হতে পারবেন।

২.  প্রয়োজনে বা চাইলে আত্বীয়ের বাসায় রাতে অবস্থান করতে পারবেন।

৩. ট্রাভেলে বা যাতায়াতে কোন বাঁধা নিষেধ থাকবে না।

৪. রেস্টুরেন্ট বা পাবে বেশী লোক এক সাথে একত্রিত হতে পারবেন না।

৫. যদি কারো করোনাভাইরস মহামারির উপসর্গ দেখা যায় তবে বাসায় আইসোলেশনে থাকতে হবে। কোন রকম গেদারিং এ অংশ গ্রহন না করতে বলা হয়েছে।

৬. বড় দিন উপলক্ষে বাহিরে অন্য বন্ধু বা আত্বীয়ের সাথে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে দেখা করতে পারবেন। কিন্তু বাসায় তিন পরিবারের বেশী যেতে পারবেন না।

৭. খ্রিস্টমাস বা বড় দিনে কোন বড় হল বা ভেনু , পাব, রেস্টুরেন্টে অনুস্ঠান করা যাবেনা।

৮. আপনি যদি সরকারি আইন অমান্য করেন তবে অবশ্যই আইনের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হবে। এমন কি বড় ধরনের জরিমানা হতে পারে।

৯. ১৮ বছরের নিচের সন্তানদের বাবা মা বা অভিবাবকদের সাথে বড় দিন উৎযাপন করতে হবে। স্ব স্ব বাসায় থাকতে হবে। সর্বোচ্চ তিন পরিবার এক সাথে হতে পারবেন।

২রা ডিসেম্বর ২০২০ বুধবার লকডাউন প্রত্যাহার হলেও পুরো ইংল্যান্ড জুড়ে থাকবে হাই এলার্ট জারি। লকডাউন প্রত্যাহারের পর আগের টায়ার পদ্ধতির নিয়মে কঠোর বিধি নিষেধের আওতায় পড়তে হবে ৫৫ মিলিয়ন বাসিন্দাদের। ফলে সকল বাসিন্দরা বর্তমান নিয়মের মত হাউজহোল্ড মিক্সিং করতে পারবেনা।

কঠোর বিধি নিষেধ টায়ার তিন স্তরের নিষেজ্ঞায় পড়তে হবে মিডল্যান্ডস, নর্থ ইস্ট এবং নর্থ ওয়েস্ট ইংল্যান্ড, ম্যানচেস্টার ও কেন্টের বাসিন্দাদের।
আর দ্বিতীয় স্তরের নিষেজ্ঞায় থাকবে, লন্ডন এবং লিভারপুল সিটির বাসিন্দারা।

তবে আইল অফ ওয়াইট, কর্নওয়াল এবং আইসিলস অফ সিলি এলাকার বাসিন্দরা সব ধরনের বিধি নিষেধ থেকে মুক্ত থাকবেন। কারন উক্ত এলাকাগুলো করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা একেবারে কম।

এদিকে হেলথ সেক্রেটারী ম্যাট হ্যানক জানিয়েছেন, কোন কোন এলাকায় বিধি নিষেধ কেমন হবে তা আরো পরিস্কার ধারনা দেয়া হবে পরর্বতীতে। তিনি বলেন, বিজ্ঞানী এবং উপদেষ্টাদের পরামর্শে ও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

প্রায় ২১ এলাকার ২৩ মিলিয়ন মানুষ সর্বোচ্চ স্তরের সর্তকায় থাকতে হবে। এর মধ্যে বার্মিংহাম, লিডস, শেফিল্ড, টিস ভ্যালি, লিংকনশায়ার, লেস্টার, ব্রিস্টল, কেন্টসহ বেশ কয়েকটি এলাকায়।

খ্রিস্টমাস বা বড় দিনের চেয়ে বড় হচ্ছে জীবন। বেঁচে থাকলেই উৎসব পালন করা সম্ভব হবে। উৎসবের চেয়ে বড় হচ্ছে জীবন। তাই জীবন বাঁচাতে সবাইকে সরকারের সকল বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।যে কোন ধর্মের যে কোন উৎসব বা ধর্মীয় অনুস্ঠান এলে সবাই আনন্দিত হয় উৎফল্লিত হয়। জাকজমক ভাবে পালন করা একটি অভ্যাসে পরিনত হয়েছে যুগ যুগ ধরে কিন্তু করোনাভাইরস নামক মহামারি সেই ধর্মীয় উৎসব পালনে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়তে পারে এমন আশংকায় সরকার বেশ কড়া নজর রেখেছে। সরকারের নিয়মনীতি আমাদের সবাইকে মেনে চলতে হবে।

২৫শে ডিসেম্বর খ্রীস্টান ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব এই বড় দিন বা খ্রিস্টমাস।এই দিনে বৃটিশ সরকার করোনার কড়াকড়ির  কিছুটা শিথিল করলেও গবেষকরা কিন্তু বলছেন এর ফলে করোনা সংক্রামন বেড়ে যেতে পারে।

বার বার হাত পরিস্কার করুন, মুখে মাক্স ব্যাবহার করুন। সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখুন নিজে সুস্থ্য থাকুন অন্যকে সুস্থ্য রাখতে সহযোগিতা করুন। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন আমিন।

একুশে সংবাদ/এআরএম

প্রবাস বিভাগের আরো খবর