সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

২০৩০ সালে ব্রিটেনে থাকবে না ডিজেল ও প্রেট্রোল চালিত গাড়ি

প্রকাশিত: ১১:২১ এএম, ২২ নভেম্বর, ২০২০

পরিবেশ দূষণ ও সুস্থ্য জীবনের নিশ্চয়তা দিতে ব্রিটিশ সরকার দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। নতুন নতুন টেকনোলজি আবিস্কার মানুষকে নতুন ভাবে উদ্ভাবিত করে। দিনের পর দিন যে ভাবে টেকনোলজির আবিস্কার আমরা জানিনা আগামীতে আরো কি নতুন দেখবো?

তবে ব্রিটিশ সরকার আগামী দশ বছরের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। যে ভাবে পরিবেশ দূষন হচ্ছে তাতে বড় বড় শহর গুলিতে মানুষের মুক্ত ভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার অবস্থা নেই। এই সব বায়ু দূষন থেকে বাঁচার জন্য ব্রিটেনে ডিজেল ও প্রেট্রোল চালিত গাড়ী আগামী ২০৩০ সালের পর আর চলবে না।

অবশ্য বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই ব্যাটারী এবং এলিক্ট্রিকাল হাইব্রিড গাড়ী চালানোর জন্য সরকার কাস্টমারদের উৎসাহিত করে আসছেন। শুধু উৎসাহিত নয় হাইব্রিড গাড়ী চালানোর জন্য অর্থনৈতিক ভাবে ও সরকার।

পরিবেশ দূষণ আজ সারা পৃথিবীর একটি বিরাট সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। সব রকম দূষণ থেকে আমাদের মুক্তি দিতে পারে একমাত্র উদ্ভিদ। সবুজ উদ্ভিদ বা গাছ সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজের খাদ্য নিজে প্রস্তুত করতে পারে। 

এই প্রক্রিয়ায় গাছ বাতাস থেকে কার্বন-ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে আর বাতাসে অক্সিজেন ছেড়ে দেয়। যে অক্সিজেন প্রাণীজগতের বাঁচার জন্য অপরিহার্য্য। তাই বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং সংরক্ষণ করতে হবে । তাহলে বাতাসে কার্বন-ডাই অক্সাইডের ভারসাম্য বজায় থাকবে। 

কলকারখানা থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের ব্যবস্থা গ্রহণ, যথা কলকারখানার বা নর্দমার তরল যাতে নদীর জলে না মেশে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শব্দদূষণ কমানোর জন্য শব্দ নিরোধক যন্ত্রের ব্যবহারের উপর জোর দিতে হবে। 

রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সারের প্রয়োগ বেশি করে এবং কীটনাশকের পরিমাণ কমিয়ে মৃত্তিকা দূষণ রোধ সম্ভব। সর্বোপরি যানবাহনে পেট্রল বা ডিজেল পোড়ানোর পরিবর্তে ব্যাটারি চালিত গাড়ির ব্যবহার করতে পারলে দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

মানুষের ব্যাবহারিক রাসায়নিক, ভৌতিক ও জৈবিক বৈশিষ্ট্যের যে অবাঞ্চিত অংশ জীবের ক্ষতিগ্রস্ত করে,তাকেই দূষণ বলে।

আকাশ, বাতাস, জল, উদ্ভিদজগত, প্রাণীজগত সবকিছু নিয়ে আমাদের পরিবেশ। এগুলির কোনোটিকে বাদ দিয়ে আমরা বাঁচতে পারি না । মানুষ তার বিদ্যা, বুদ্ধি দিয়ে এবং অনলস পরিশ্রমে তার চারপাশের পরিবেশকে আরও সুন্দর করে সাঁজিয়াছে।

প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে বেশি মণিমানিক্য সংগ্রহ করে মানুষ উষর মরুভূমির বুকেও ফুটিয়েছে সোনালী ফসল। কিন্তু সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আর স্বার্থান্বেষী কিছু মানুষের লোভে প্রাকৃতিক পরিবেশ আজ নানান ভাবে দূষিত হচ্ছে। 

যেমন : 

১. বায়ু
২. জল 
৩. মাটি 
৪. শব্দ 

এই সব  দুষণের ফলে মানুষের জীবনেও এসেছে নানা রকম দুরারোগ্য ব্যাধি ।স্বাস্হ্য ক্ষতি, দূর্বল দেহে বেঁচে আছে করুন ভাবে। এই সব দূষণ থেকে সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বৃটেনও নিচ্ছে নানাধরনের পদক্ষেপ।

প্রাকৃতিক পরিবেশের অন্যতম ও প্রধান হলো বায়ু বা বাতাস যা ছাড়া প্রাণীজগত এক মুহূর্ত ও বাঁচতে পারে না। বায়ুদুষণের অন্যতম কারণ হল নিউক্লীয় আবর্জনা, কয়লা পুড়িয়ে কার্বন-ডাই অক্সাইড বাতাসে ছড়িয়ে দেওয়া, কলকারখানার দূষিত গ্যাস, যানবাহনের জ্বালানি পোড়া গন্ধ বাতাসে মিশে বাতাস দূষিত হচ্ছে। দুষণের ফলে মানুষের শ্বাসকষ্ট, ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির শিকার হতে হচ্ছে।

এই সব দূষণ থেকে পরিবেশকে বাঁচাতে, কার্বণ থেকে মুক্তির জন্য ব্রিটিশ সরকার প্রথমেই ডিজেল এবং প্রেট্রোল চালিত গাড়ী নিষেধ হচ্ছে ২০৩০ সালে। ডিজেল এবং প্রেট্রোল চালিত গাড়ীর পরিবর্তে চলবে ব্যাটারী এবং ইলেক্ট্রিক চালিত হাইব্রিড গাড়ী।
ব্রিটেনের পরিবেশবিদরা মনে করছেন এতে পরিবেশ দূষন মুক্ত হবে দেশ। গাছপালা সবুজে ভরে উঠবে পরিবেশ। সুস্থ্যভাবে বাঁচবে মানুষ।

একুশে সংবাদ/এআরএম

প্রবাস বিভাগের আরো খবর