মাগুরার শ্রীপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে ওই উপজেলার ছাবিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গয়েশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মোল্লা এবং আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ গ্রুপের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, জাহিদ (৪০), এরশাদ (৩৫), জানু (৩৫), আবেদ আলী (৮০) নাছির (৫০), জিল্লু (৪০), মাহাবুল (৫০), আনোয়ার (৫৫), অনিক (২২), ঠান্ডু (৩৫) রুকুনুজ্জামান (৪০), আশরাফ (৪০), জাহাঙ্গীর (৪০), দেলবার মন্ডল (৫০), সিরাজসহ (৫০) অন্তত ২০ জন। আহতদের মাগুরা সদর হাসপাতালে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দারিয়াপুর নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে সোহাগ মন্ডল (২৫), আতর আলী (৬২), মোমিন (৬০) ও আবেদ আলীকে (৬৫) আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকালে চেয়ারম্যান হালিম গ্রুপের মজলুর ছেলে আলমগীর মাঠে কাজ করতে গেলে ইউসুফ গ্রুপের ছবিনগর গ্রামের বাসিন্দা সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে মো. হারুন (৪৫) বলেন যে, ‘আগে মাঠ থেকে আমার পানি তোলার মেশিন তোরা নিয়ে গিয়েছিলি, এবার এগুলো ফেরত দিতে হবে। এখন আমরা উপজেলা নির্বাচনে পাস করেছি।’ তখন উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে আলমগীরের ছেলে রিফাত (২২) লোকজন নিয়ে হারুন বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা করেন। তখন ইউসুফ গ্রুপের হান্নান মেম্বারের নেতৃত্বে চেয়ারম্যান হালিম গ্রুপের লোকজনের বাড়ি ভাঙচুর করতে গেলে তারা তা প্রতিহত করার জন্য আক্রমণ করেন। তখন উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
একুশে সংবাদ/বিএইচ