সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সরকারের প্রতিদিনের কর্মসূচি কাল্পনিক মামলা দায়ের: মির্জা ফখরুল

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৭:১৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ দেশের বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের অব্যাহত গতিতে গ্রেপ্তার ও কাল্পনিক কাহিনী তৈরি করে মামলা দায়ের এখন দখলদার আওয়ামী সরকারের প্রতিদিনের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) গেন্ডারিয়া থানার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য মকবুল ইসলাম টিপু, ওমর নবি বাবু, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহবুবুর রহমান টিপু, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ময়না, ৪০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রবিন, ৪০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ সালে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান), জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোহিতুর রহমান হেলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরীসহ ১৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লিখিত নেতৃবৃন্দের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে প্রেরণ এবং মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ জানুয়ারির ডামি ও একতরফা নির্বাচনের পর ক্ষমতার দাপট এবং ক্ষমতালোভ আওয়ামী সরকারকে আরো বেশি মাত্রায় হিংস্র করে তুলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ৬ জন নেতৃবৃন্দের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ এবং মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি উল্লিখিত নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

এছাড়া পৃথক বিবৃতিতে সম্প্রতি রাজধানীর জুরাইন থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মনির মুন্সী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবুসহ গাড়িচালককে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করার পরও আটকের বিষয়টি অস্বীকার এবং মহানগর যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহেদকে গোয়েন্দা পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতায় থেকে এ ধরনের মনুষ্যত্বহীন কাজ ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের মদদে এখনো বিরোধী দল নিধনে বেপরোয়া কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর অবৈধ আওয়ামী সরকার নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ভয় পাচ্ছে। তাই অজানা আতঙ্কে সবসময় উদ্বিগ্ন থাকছে।

এর ফলে গুম, গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও বিচার বহির্ভূত হত্যার মতো নিষ্ঠুর কাজ অব্যাহত রেখেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিরোধী দলশূন্য না করলে দেশে নব্য বাকশালী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা সম্ভব নয় বলেই বিরোধী দল ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে হরণ করতেই ধারাবাহিকভাবে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অদৃশ্য করা হচ্ছে। উল্লিখিত নেতৃবৃন্দকে গোয়েন্দা পুলিশ আটকের পর অস্বীকারের ঘটনা নিঃসন্দেহে অশুভ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এসব নেতৃবৃন্দ নিখোঁজ থাকার ঘটনায় তাদের পরিবার ও বিএনপি নেতাকর্মীরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব শাহেদকে ডিবি পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তারের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 

তিনি বলেন, আমি ডিবি পুলিশ আটককৃত উপরোল্লিখিত নেতৃবৃন্দকে অবিলম্বে জনসম্মুখে হাজির করার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ তাদের সরকারের এজেন্সিগুলোই তুলে নিয়ে গেছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই আওয়ামী গণবিচ্ছিন্ন সরকার বিরোধী দল ও মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। আওয়ামী ভয়াবহ দুঃশাসনে সমগ্র দেশটাই এখন জুলুমের নগরীতে পরিণত হয়েছে। তবে দখলদার আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে ক্রোধান্বিত হয়ে উঠেছে জনগণ, আওয়ামী অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর পতন না হওয়া পর্যন্ত জনগণের আন্দোলন থামবে না।


একুশে সংবাদ/কা.ক/সা.আ

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর