সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে স্বাধীনতার পক্ষের জায়গা মনে করে সমাবেশ করতে চায় না বিএনপি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৯:৫১ পিএম, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, নয়াপল্টনে বিএনপি সমাবেশ করা নিয়ে নানারকম টালবাহানা করছে। প্রশাসন শুরু থেকেই তাদেরকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দিলেও তা করতে চায় না তারা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে বিএনপির আপত্তি কারন আমরা জানি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে স্বাধীনতার পক্ষের জায়গা মনে করে তারা। 

 

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশের বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

 

এসময় তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আত্মসমর্পণ করে। বিএনপির জন্য এসব বিষয় মানা খুবই কষ্টকর। এছাড়াও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো বিশাল জায়গায় এতো লোকজনের সমাবেশ করাও বিএনপির জন্য কষ্টকর হবে। তাই তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বাদ দিয়ে অন্য জায়গায় সমাবেশ করতে চায়। আমি বিশ্বাস করি, তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং কোনরকম সংঘাট এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ জনসমাবেশ আয়োজন করবে বিএনপি।

 

এর আগে সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষকলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা দাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণে সম্মেলন পন্ড হয়। পরে সার্কিট হাউসে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে নেতাকর্মীদের সীধান্তে জেলা কৃষকলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কয়েক দফায় সংঘর্ষ, মারধর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার বিষয়ে আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীরাই এমন ঘটনার জন্য দায়ী। আওয়ামীলীগকে বিতর্কিত করতে ও নিজেদের অবস্থান জানাতেই এমন গর্হিত কাজ করছে বিএনপি-জামায়াত থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীরা। তবে তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বর্তমানে সবাই ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। দলে কোন ভেদাভেদ নেই।

 

মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আওয়ামীলীগ একটি বৃহত্তম সংগঠন। শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারতীয় উপমহাদেশের একটি বৃহৎ দল আওয়ামীলীগ। জাতির জনকের হাতে গড়া এই সংগঠনের ছায়াতলে আসে। অনেক নেতাই প্রবীণ হয়ে যায়, কর্মহীন হয়ে পড়ে। এছাড়া নবীনদের সুযোগ করে দিতে ও দলের কর্মদক্ষতা বাড়াতে নিয়মিতভাবেই দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন করা হয় এবং নতুন করে কমিটি গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

 

তিনি আরও বলেন, আওয়ামীলীগ দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন ও কমিটি গঠনের কাজ নিয়মিত করে আসছে। বিএনপির সাথে আমাদের তুলনা হয় না। বিএনপিতে বছরের পর বছর ধরে কোন সম্মেলন হয় না। হটাৎ করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিটি ঘোষণা করা হয়।

 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহা. জিয়াউর রহমান, সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোখলেসুর রহমানসহ আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

 

একুশে সংবাদ.কম/আ.ও.প্র/জাহাঙ্গীর

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর