সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ভোররাতে হেফাজতের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:৪০ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২১

বিলুপ্ত ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর ভোররাতে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

এতে জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির, আল্লামা নুরুল ইসলামকে মহাসচিব এবং মাওলানা সালাহউদ্দীন নানুপুরী ও দেওনার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানকে সদস্য করা হয়। এছাড়া আহ্বায়ক কমিটির প্রধান উপদেষ্টা করা হয় মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীকে।

প্রথমে ৩ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।এর কয়েক ঘণ্টা পর রাত পৌনে ৪টার দিকে সদ্যঘোষিত হেফাজতের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী তার ফেসবুক পেজে এসে এক ভিডিও বার্তায় পূর্বোল্লিখিত আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য হিসেবে আল্লামা সালাউদ্দিন নানুপুরী ও অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানান।

এর আগে রোববার রাত ১১টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে হেফাজতের প্রাক্তণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন আল্লামা বাবুনগরী। 

গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। সেই বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়। 

ওই সংঘাতে প্রাণ হারান অন্তত ১৮ জন। সেসব ঘটনায় একাধিক মামলা হয়। মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ পর্যন্ত হেফাজতের অন্তত এক ডজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে নারীসহ আটক হন। এতে নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়ে হেফাজত। 

সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে কোণঠাসা হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতারা শুরু থেকেই সমঝোতার চেষ্টা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। 

গত সপ্তাহে হেফাজত ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসায় দেখা করে দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত বর্তমান কমিটি ভেঙে দিলেন হেফাজত নেতারা।

গত বছরের ১৫ নভেম্বর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর নির্বাচিত হয়েছিলেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এবং মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছিলেন ঢাকার জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও হেফাজতের ঢাকা মহানগর শাখার আমির নূর হোসাইন কাসেমী। পরে করোনায় মারা যান কাসেমী।তার মৃত্যুর পর মহাসচিব হিসেবে ওই পদে বসেন আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী।

 

একুশে সংবাদ/এসএম

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর