সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সুমনকে দেখতে হাসপাতালে মমতা, খেতে চাইলেন চকোলেট!

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৯:০০ পিএম, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কবীর সুমন। বুকে সংক্রমণ ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্য়ার কারণে সিসিইউ-তে রাখা হয় তাঁকে। এরপর থেকেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চলছে ‘গানওয়ালা’র চিকিৎসা।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সুমনকে হাসপাতালে দেখতে যান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসে খবর, এদিন ‘দিদি’কে দেখেই বেশ চাঙা ভাব ফিরে আসে গায়কের। উঠে বসার চেষ্টা করেন তিনি। সিসিইউ’র বেডে শুয়েই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে খানিক্ষণ আলাপ করেন গায়ক।

এ সময় সুমনের শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎকদের সঙ্গেও। গায়কের স্বাস্থ্য নিয়ে আপটেড দিয়েছেন মমতা। সকলকে আশ্বস্ত করে তিনি বললেন, ‘আগের চেয়ে ভালো আছেন। কথা বলেছেন। বাড়ি যাব, বাড়ি করছে। আমি জানিয়েছি, আরও ১০ দিন থাকতে হবে। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে তারপর বাড়ি যাবেন।’

এদিকে, হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই সম্প্রতি চিকেন স্যান্ডউইচ খাওয়ার বায়না ধরেছিলেন শিল্পী। হাসপাতালের তরফে সেই আবদার রাখাও হয়। আজ মমতার কাছে চকোলেট খাওয়ার আবদার করেছেন কবীর সুমন। নিরাশ করেননি মুখ্য়মন্ত্রী, তবে ডায়াবেটিস থাকায় চকোলেটের অংশ ফেলে শুধু বিস্কুট খাওয়ার অনুমতি দেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পচাত্তর বয়সের ‘তরুণ’ এই শিল্পীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন স্বাভাবিক হয়েছে। তবে বুকে সংক্রমণ রয়েছে। পাশাপাশি নিউমোনিয়াও আছে গায়কের। হার্টের অবস্থাও ভালো নয়। ডায়াবেটিসের রোগী তিনি। ফলে চিকিৎসকরা এখনও গায়ককে বিপদমুক্ত বলছেন না।

প্রসঙ্গত, এখনও সংগীত নিয়েই সমূহ ব্যস্ততা কবীর সুমনের। বর্তমানে তিনি বাংলা খেয়াল নিয়ে কাজ করছেন। এ বিষয়ক একটি কর্মশালা করাতে সম্প্রতি বাংলাদেশেও এসেছিলেন তিনি। একটা সময় প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন সুমন। তৃণমূলের হয়ে যাদবপুর থেকে লোকসভার সংসদ সদস্যও হয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বেড়ে যায়। এরপর আর কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হননি। তবে এখনও নিজেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একনিষ্ঠ ‘সমর্থক’ বলে উল্লেখ করেন সুমন।

 

একুশে সংবাদ/ন.আ.প্র/জাহা

ওপার বাংলা বিভাগের আরো খবর