সোমবার (২ জানুয়ারি) কলকাতার নজরুল মঞ্চ থেকে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী। এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তার ভাতিজা ও দলটির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য অভিষেক ব্যানার্জী ও দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বকশি। এদিন ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির নতুন লোগোও উন্মোচন করা হয়।
মূলত জনসংযোগের হাতিয়ার হিসেবে এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে তৃণমূল। আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ নিয়ে পথে নামবেন তৃণমূল নেতারা। টানা দুমাস চলবে কর্মসূচি। মূলত এভাবেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগে নামতে চলেছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলটি।
অনুষ্ঠানে অভিষেক ব্যানার্জী বলেন, কন্যাশ্রী, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, যুবশ্রী, ঐক্যশ্রী, লক্ষীর ভাণ্ডার, আবাস যোজনাসহ ১৫টি সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ। এ লক্ষ্যে ‘দিদির দূত’ অ্যাপ আনা হয়েছে গুগল প্লে স্টোরে। ৬০ দিন ধরে চলবে কর্মসূচি। এর আওতায় তৃণমূলের সাড়ে তিন লাখ স্বেচ্ছাসেবক রাজ্যের প্রতিটি মানুষের বাড়িতে যাবেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে সরকারি প্রকল্পের সব কিছু জানাবেন। কোনো প্রকল্পের সুবিধা পেতে অসুবিধা হচ্ছে কি না তা জানার চেষ্টা করবেন।’
তিনি আরও জানান, আগামী দু’মাস দলের প্রায় সাড়ে ৩০০ জন রাজ্য পর্যায়ের নেতা ১০ দিন করে গ্রামে গিয়ে রাত্রিযাপন করবেন। গ্রামবাসীর অভাব-অভিযোগ শুনবেন। তিনি চলে যাওয়ার পর সরকারের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন কি না তা সুনিশ্চিত করতে বাড়ি বাড়ি যাবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।
এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘দুয়ারে সরকার’র আদলে এবার মানুষের দরজায় তৃণমূল কংগ্রেস। ওরা (আইটি টিম) নাম দিয়েছে ‘সুরক্ষা কবচ’। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই কর্মসূচির আওতায় আমাদের সাড়ে তিন লাখ কর্মী দুই কোটি পরিবারের বাড়িতে যাবে এবং ১০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছাবে।
গ্রামে গিয়ে তৃণমূল নেতাদের রাত কাটানো প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘এগুলো খুব ভালো জিনিস। ছোটবেলায় আমরা দেখতাম, গ্রামে আড্ডা হতো। কিন্তু বর্তমানে মানুষের কাজে এত ব্যস্ততা যে, এগুলো কমে গেছে। সেক্ষেত্রে আমরা সবাই যদি এক জায়গায় যাই এবং পিকনিকের মতো অনুষ্ঠান করি, সেই গ্রামের লোকেরা খুশি হবে। সময় পেলে আমিও করবো।’
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগেও ঠিক একইভাবে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জী। আর এবার পঞ্চায়েতকে পাখির চোখ করে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ চালু করেছে তৃণমূল।
একুশে সংবাদ/আ.বা/এসএপি