সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঈদে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করলেই ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৭:১৬ পিএম, ১ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তা দিতে বাস ট্রেন ও লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিন বলেন, যদি কেউ করে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যানজট নিরসনে রেলস্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে মনিটর করবে।

সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত আসন্ন ঈদুল ফিতরে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, ঈদের পূর্বে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতাদি পরিশোধ, সড়ক মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখাসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রমজানে যানজট কিছুটা বাড়ে এটা সত্য। তবে ঈদ ঘনিয়ে আসলে এটা আরও বাড়ে। কারণ ঈদ শপিংয়ের জন্য মানুষ মার্কেটে যান। আবার উন্নয়ন কাজের জন্য কিছু রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তা দিতে বাস ট্রেন ও লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। যদি কেউ করে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যানজট নিরসনে রেলস্টেশন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে মনিটর করবে।

তিনি বলেন, যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ নিরাপত্তা বাহিনী সড়কে রয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে যানজট কীভাবে সহনীয় রাখা যায়, সে বিষয়ে ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে। আশা করি শিগগিরই যানজট কমে যাবে।

রাজধানীতে যানজট একটি কারণ হলো ট্রাফিক পুলিশ রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করিয়ে গাড়ি চেক করে, এ বিষয়ে  জানতে চাইলে  তিনি বলেন, এখানে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা রয়েছেন, তারা এ বিষয়ে নিশ্চয়ই নজর রাখবেন।  

তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন এখন ঈদের মার্কেটের জন্যই বিকেলের পর থেকে সারা ঢাকা শহর অচল হয়ে যায়। শুধু এক জায়গায় নয়। আমাদের অভিজ্ঞতায় মনে হয় আর দুই চার দিনের মধ্যেই ঢাকা শহরে যানজট কমে যাবে। তবে যানজট চলে যাবে আমাদের ঘরমুখী মানুষের ঢল যেখানে নামবে সেখানে। শহরের যানজট আর চার পাঁচ দিনের মধ্যেই কমে যাবে।

৯ এপ্রিল ছুটি হয়নি তাহলে ঘরমুখো মানুষের চাপ কীভাবে সামাল দেবেন কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছেন কি না, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঈদের ছুটি চাঁদ দেখার ওপর নির্ধারণ হয়। ২৯ রোজা হলে ঈদ ১০ তারিখে হয়। তাহলে ৯ এপ্রিল ঘরমুখো মানুষের প্রচণ্ড ভিড় হবে। আজকে ক্যাবিনেটে আলোচনা করে ছুটি অপশনাল করা হয়েছে। যারা প্রয়োজন মনে করবেন তারা ৯ তারিখ ছুটি নিতে পারবেন। সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে অপশনাল ছুটি হিসেবে নিতে পারবে। আর ব্যাংক ও অর্থনৈতিক প্রকিষ্ঠানগুলো চালু থাকবে।

ধাপে ধাপে ছুটি দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ শ্রমিক সংগঠনগুলো বসে ছুটির দিকে খেয়াল রেখে তারা এই সিদ্ধান্ত নেবে। যাতে ছুটিটা একসঙ্গে না হয়, ধাপে ধাপে ছুটির ব্যবস্থা করবে।

পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানকে ঘিরে প্রতি বছর আমরা একটা সময় ধরে দেই। হঠাৎ একটা সমস্যা হলে আমাদের পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী সজাগ রয়েছে। পহেলা বৈশাখর দিন মঙ্গল শোভাযাত্রা হোক বা যাই হোক সেখানে কোনো বাধা নেই। তবে সন্ধ্যার পর সীমিত করে দিতে চেয়েছি, যাতে করে উদ্যানে, রাস্তাঘাটে, উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান না করে একটা কমিউনিটি হল বা আবদ্ধ স্থানে নিয়ে যাবে। যাতে করে সবাই ভালো থাকে।


একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা

 

 

জাতীয় বিভাগের আরো খবর