সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

দক্ষ ও সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার অভাব জাতীয় উন্নয়নের অন্তরায় -ভূমিমন্ত্রী

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৮:৫০ পিএম, ২৬ মার্চ, ২০২৪

ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে টেকসই জনবান্ধব ভূমি সেবা বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করার জন্য ভূমি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভূমি ভবনে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব ও উন্নয়ন ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ। ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাভুক্ত দপ্তর/সংস্থাসমূহের গণকর্মচারীবৃন্দ অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু দেশ ও জাতি গঠনে ভূমির সুষ্ঠু ও টেকসই ব্যবহার এবং ভূমির ওপর মানুষের ন্যায্য অধিকারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি ভূমি বিষয়ক বিভিন্ন যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একই ধারাবাহিকতায় ভূমি ব্যবস্থাপনার সংস্কার কার্যক্রম গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করে একে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন ও বদ্বীপ পরিকল্পনার অন্যতম অংশ করেন।

নারায়ন চন্দ্র চন্দ ভূমি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা যেমন দেশ ও জনগণের জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন; তিনি বলেন, একইভাবে, এই স্বাধীন বাংলাদেশে, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে গণপ্রতিনিধি হিসেবে আমাদের এবং গণকর্মচারী হিসেবে আপনাদের স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য এবং দেশ ও জনগণের অর্থনৈতিক ভাগ্য পরিবর্তনে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যেতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, ভূমি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। দক্ষ ও সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার অভাব জাতীয় উন্নয়নের অন্তরায়। এজন্য স্মার্ট বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে হলে দক্ষ ও সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।

সচিব বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা। তিনি সমগ্র জাতিকে এক ছাতার নীচে নিয়ে এসে প্রেরণা জুগিয়েছিলেন। তার অভূতপূর্ব নেতৃত্ব থেকে গণকর্মচারী হিসেবে আমাদের সবারই অনেক কিছু শেখার আছে। এ সময় সচিব ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মরত সকলের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে আমরা সম্মিলিতভাবে আমাদের সেরাটা দিয়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজ করে যাব।

সভায় আলোচকবৃন্দ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা আলোচনা করেন। ১৯৪৪ সালে ঔপনিবেশিক বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৪৮ সালে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ, ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮-এর সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ৬৬-এর ৬-দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচন এবং ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর দেশ গঠনসহ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে পরিচালিত প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে তাঁর ভূমিকার বিষয়ে তুলে ধরেন আলোচকবৃন্দ। 

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ


 

জাতীয় বিভাগের আরো খবর