সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

রোজায় কম দামে মাংস ও ডিম বিক্রি করবে সরকার

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:০৩ পিএম, ৪ মার্চ, ২০২৪

রমজান মাসে রাজধানীর ৩০টি স্থানে ট্রাকে করে কম দামে মাংস ও ডিম বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।

সোমবার (০৪ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, রমজান উপলক্ষে ১০ মার্চ থেকে ঈদ পর্যন্ত রাজধানীর ৩০টি স্থানে ট্রাকে করে গরুর মাংস ৬০০ ও খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করা হবে। এছাড়া ড্রেসিং করা মুরগির (ব্রয়লার) মাংস প্রতি কেজি ২৮০ টাকা এবং প্রতি পিস ডিম ১০ টাকা ৫০ পয়সা করে বিক্রি করা হবে। আাগামী ১০ মার্চ এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে।

ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ট্রাকে করে এ কার্যক্রম চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকার বাইরে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করার তাগিদ আছে। ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ, আপনারা মানুষকে কষ্ট দিয়ে অধিক মুনাফা লাভের চেষ্টা করবেন না।

এই কার্যক্রম সারা দেশে চলবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত ঢাকায় ৩০টি স্থানে এটা করা হবে। পর্যায়ক্রমে সামর্থ্য অনুসারে আরও বেশি জায়গায় প্রসারিত করার চেষ্টা করব।

ইলিশ সংরক্ষণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জাটকা ধরার জায়গা থেকে, মৎস্যজীবীদের সরিয়ে আনতে হবে। এটা বন্ধ হলে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত মাছটি নদীতে থাকতে পারবে, ততই এর বৃদ্ধি ঘটবে।

তিনি বলেন, মাছ উৎপাদন নিয়ে প্রাণিসম্পদে আমরা সন্তোষজনক অবস্থায় আছি। এটার প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষে আমাদের আরও কিছু পরিকল্পনা আছে। আমাদের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে আছে, কারেন্টের জাল ব্যবহার। এটা দিয়ে যত্রতত্র মাছ ধরা হয়। যে মাছ থেকে মাছের বিস্তার হবে, সেটাও কারেন্ট জাল দিয়ে ধরা হয়। এ বিষয়টা আমরা ডিসিদের বলেছি। মাইকিং করে জালগুলো তুলে ফেলতে হবে। না করলে জেলা প্রশাসকদের নেতৃত্ব আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে জালগুলো আটক করতে হবে।

তিনি বলেন, জাটকা নিধন বন্ধে, কিছুদিন ইলিশ ধরা বন্ধ রাখা হচ্ছে। আগামী ১১ মার্চ থেকে এটা শুরু হবে। এই মধ্যবর্তী সময়ে যারা মৎস্যজীবী আছেন, তাদের একটা সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে, তাদেরকে রেশনিংয়ের মধ্যে নিয়ে আসার ব্যবস্থার কথা বলেছি। কারণ ওই সময়টায় তাদের যদি একটা প্রণোদনা দেয়া হয়, তাহলে মাছ না ধরার কারণে, তাদের ক্ষতি তারা পুষিয়ে নিতে পারবেন।


একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
 

জাতীয় বিভাগের আরো খবর