সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

দুই যুগেও পানগুছিতে যুক্ত হয়নি বড় ফেরি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:২৭ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীতে চলাচলকারী ফেরিগুলো পুরাতন, মাঝে মাঝে মেশিন দিয়ে পানি সেচ দিয়ে চালাতে হয়, ফেরীর তলদেশে ছিদ্র থাকায় যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে। অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছে ফেরীগুলো। বর্তমানে এই নদীতে সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের ০৪৭/০৫১/০৮২ নাম্বার ফেরি চলাচল করে। ফেরি সচল থাকলেও নেই দক্ষ জনবল, তাই ছোট এই ফেরি দিয়ে  প্রতিদিন ঝুকির মধ্যে পারাপার করানো হচ্ছে শত শত যানবাহন।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পানগুছি নদীর উপর মোরেলগঞ্জ উপজেলার বড় এই ফেরী ঘাটটি। এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন তিন থেকে চারশ’ যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। পুরাতন ফেরী হওয়ায় ফেরিগুলো চলাচলের অনেকটা ঝুকি থাকে। এই ফেরী ঘাট দিয়ে মঠবাড়িয়া, শরনখোলা, মোরেলগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে ঢাকা, বরিশাল, বেনাপোল স্থল বন্দর, যশোর, খুলনা, নড়াইল, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জেলার বিশেষ করে পন্যবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস ও এ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন ধরনের শত শত যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের দূরত্ব কম হওয়ায় যানবাহনের চাপ এ ঘাটে ব্যাপক।

মোরেলগঞ্জ ফেরী ঘাটের ইজারাদার শহিদুল ইসলাম বলেছেন, এখানে যানবাহন পারাপারকারী ফেরীর তলদেশসহ বিভিন্ন স্থানে ছিদ্র রয়েছে, বেটারী দুর্বল,মাঝে মাঝে ইঞ্জিনে বড় ধরনের সমস্যা হয় তখন খুলনা থেকে ইঞ্জিনিয়ার এসে ঠিক করে দেয়। মাঝে মাঝে  পারাপার করার পর সেচ দিয়ে আবার চালাতে হচ্ছে। ততক্ষণে ফেরী ঘাটের দুই পাড়ে জমে যায় শত শত যানবাহন। বড় ফেরি দেয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে যে কোন সময়  দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ছোলমবাড়ি-বারইখালী

এই ঘাট দিয়ে চলাচলকারি ঢাকাগামী পরিবহনের একজন ড্রাইভার  জানান, মোরেলগঞ্জের এই  ফেরী প্রায়ই অকেজো হয়ে পড়ে। ঘাটে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয়। দুইটা ফেরী চালানো হয় না।যাত্রীরা নানা অভিযোগ করেন, নতুন ২ টা ফেরী দেয়া হয়েছে,কিন্তুু মাঝে মাঝে সেই ফেরিতেও সমস্যা দেখা দেয়ার  কারনে দুই পাড়ের অসংখ্য যানবাহনকে পারাপারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের ফেরি ডিভিশনের খুলনা বিভাগীয়  নির্বাহী প্রকৌশলী আযম খান বলেন, পানগুছিতে একটি পুরাতন ফেরি, তবে দুইটা ফেরি সার্বক্ষনিক চলার কথা, ইঞ্জিনে মাঝে মাঝে সমস্যা দেখা দেয়, তবে নতুন বড় ফেরি যুক্ত হতে পারে।

ঈদের সময় এই ফেরি দিয়ে যানবাহন যাতে সঠিক ভাবে চলাচল করে সাধারন যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে পারে তার ব্যবস্থা করতে কর্তৃপক্ষ আশু ব্যবস্থা নেবেন এমনটা প্রত্যশা যাত্রী সর্বসাধারনের।


একুশে সংবাদ/ফা.হ.প্র/জাহা

 

জাতীয় বিভাগের আরো খবর