টানা ১০ বছর মন্ত্রিপরিষদের সদস্য থাকার পর এবার দায়িত্ব পাননি পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নান। বৃহস্পতিবার বিকেলে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথের কয়েকঘণ্টা আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
সরকার কতটুকু অর্জন করেছে, কোথায় গুরুত্ব দিতে হবে, ভবিষ্যতে কোন কোন খাতে মেগা পরিকল্পনা প্রয়োজন তা নিয়ে নিজের ভাবনা সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেছেন আব্দুল মান্নান।
পরিকল্পনা কমিশনের শেষ কর্মদিবসে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গ্রামে মানুষের দিকে নজর দিয়েছে। তবে গ্রামমুখী নীতি আরো বাড়ানো দরকার।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এরি মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৩৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন আগের মন্ত্রিসভার ১৪ মন্ত্রী, ১২ জন প্রতিমন্ত্রী ও দুইজন উপমন্ত্রী। আর নতুন মুখ হিসেবে মন্ত্রিসভায় নতুনভাবে যুক্ত হচ্ছেন ১৪ জন। এর বাইরে কয়েকজনকে আবার নতুন দায়িত্ব দিয়ে মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
আব্দুল মান্নান বলেন, রেললাইনকে ডাবল ট্র্যাকে উন্নীত করা, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু, টানেল নির্মাণসহ দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে আরো বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প নেওয়া জরুরি।
নতুন মন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে আব্দুল মান্নান বলেন, নতুন যিনি এ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বে আসবেন, তিনি দারুণ কর্মপরিবেশ পাবেন।
১৯৪৬ সালে সুনামগঞ্জ জেলার ডুংরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করা আব্দুল মান্নান ১৯৭৪ সালে তদানীন্তন সিএসপি ক্যাডারে যোগ দেন।
আব্দুল মান্নান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুগ্মসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক এবং এনজিও ব্যুরোতে মহাপরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।
জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের ইকোনমিক মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে ২০০৩ সালে তিনি সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেন।
আব্দুল মান্নান ২০০৫ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এবং ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর টানা চারবার সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল মান্নান।
সাবেক এই আমলা ২০১৪ সালে অর্থমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এর কিছুদিন পর তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ