সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন

অপরাধ দমনে মাঠে থাকবেন ৬৫৩ বিচারিক হাকিম

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:৪৮ পিএম, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন অপরাধের বিচার করার জন্য মাঠে ৬৫৩ জন বিচারিক হাকিম থাকবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইন শাখার যুগ্মসচিব মো. মাহবুবার রহমান সরকার। এরই মধ্যে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি আইন মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে রিকুইজিশন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

মাহবুবার রহমান সরকার বলেন, বিচারিক হাকিম থাকবে ৬৫৩ জন। আমরা রিকুইজিশন দিয়েছি। উনারা কাজ করবেন পাঁচদিন। ভোটের আগে দু’দিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে দু’দিন কাজ করবেন।

তিনি বলেন, জুডিসিয়াল অফিসার নিয়োগ হয়েছে নির্বাচনী তদন্ত কমিটিতে। গত সপ্তাহে আইন মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন নিয়ে উনারা নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন। আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে তারা তদন্ত করতে পারবেন। তারা শুধু রিপোর্ট দিতে পারবেন। স্ব উদ্যোগে তদন্ত করতে পারবেন। কমিশন যদি বলে একটা অভিযোগ পাওয়া গেছে, আপনারা রিপোর্ট দেবেন। তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবেন। কমিশন তা পর্যালোচনা করে প্রার্থী, ব্যক্তি বা দলকে দণ্ড দিতে পারেন। এ কমিটির ফলে আচরণবিধি লঙ্ঘন কমবে।

তিনি আরও বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিটি ছিল ১২২টা। এবার ৩০০ আসনে ৩০০টি কমিটি থাকবে। আগে বিচারিক কর্মকর্তারা যারা আসতেন তারা বিচারিক অফিসও করতেন। এবার কমিশনের অনুরোধে সুপ্রিম কোর্ট তাদের ফুলটাইমের জন্য নিয়োগ দিয়েছেন। সবসময় এ কাজই করবেন তারা। আশাকরি বিধি লঙ্ঘন হলে উনারা দৃশ্যমান কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবেন। তারা অলরেডি মাঠে আছেন। রোববার (২৬ নভেম্বর) থেকে পুরোদমে কাজ করবেন।

এবার বাড়তি নিয়োগের কারণ কী এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাঠে সবসময় পাওয়া যায় না, তারা আদালতের কাজ শেষ করে এটার জন্য অতিরিক্ত কাজ করেন। তাই এবার বেশি নিয়োগ করা হয়েছে। আগামী সোমবার থেকে তিনদিন তাদের ট্রেনিং হবে। প্রতিদিন ১০০ জন করে ট্রেনিং নেবেন।

বিচারিক হাকিমের বিষয়ে তিনি বলেন, বিচারিক হাকিম থাকবে ৬৫৩ জন। আমরা রিকুইজিশন দিয়েছি। উনারা কাজ করবেন পাঁচদিন। ভোটের আগে দু’দিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে দু’দিন কাজ করবেন তারা। তারা ৮৯(এ) অনুযায়ী অপরাধ আমলে নিয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাই, ব্যালট পেপার ধ্বংস করা, ব্যালট বক্স ছিনতাই, ভোটদানে বাধা দেওয়া বা বাধ্য করা, ভোটকেন্দ্রের পরিবেশকে ভোটের উপযোগী না রাখা— এ সব অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচার করতে পারবেন।

তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

 

একুশে সংবাদ/ঢ.প.প্র/জাহা

জাতীয় বিভাগের আরো খবর