সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বঙ্গবন্ধু হত্যায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১১:৪৯ এএম, ১৫ আগস্ট, ২০২৩

আজ থেকে ৪৮ বছর আগে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর সেসময় দেশে প্রতিবাদ না হলেও বিশ্ব গণমাধ্যমে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এ খবরে স্তম্ভিত হয়ে পড়ে বিশ্বসম্প্রদায়।

 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিবিসিতে প্রকাশিক হয়- শেখ মুজিব নিহত হলেন তার নিজেরই সেনাবাহিনীর হাতে অথচ তাকে হত্যা করতে পাকিস্তানিরা সংকোচবোধ করেছে।

 

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ঢাকায় সংবাদ কভার করতে এসে বিমানবন্দর থেকে জোর করে ফেরত পাঠানো সাংবাদিক ব্রায়ান ব্যারন লন্ডনে ফিরে গিয়ে ১৯৭৫ সালের আগস্ট ২৮ আগস্ট দি লিসনারে লেখেন, শেখ মুজিব সরকারিভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এবং জনসাধারণের হৃদয়ে উচ্চতম আসনে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবেন। এটা শুধু সময়ের ব্যাপার। এটা যখন ঘটবে, তখন নিঃসন্দেহে তার বুলেট-বিক্ষত বাসগৃহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্মারক-চিহ্ন এবং তার কবরস্থান পুণ্য তীর্থে পরিণত হবে।


১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট ভারতীয় বেতার আকাশ বাণী তাদের সংবাদ পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে বলে, যিশু মারা গেছেন। এখন লক্ষ লক্ষ লোক ক্রস ধারণ করে তাকে স্মরণ করছেন। মূলত একদিন মুজিবই হবেন যিশুর মতো।


বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পশ্চিম জার্মানি পত্রিকায় বলা হয়েছিল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে চতুর্দশ লুইয়ের সঙ্গে তুলনা করা যায়। জনগণ তার কাছে এত জনপ্রিয় ছিল যে লুইয়ের মতো তিনি এ দাবি করতে পারেন যে, আমিই রাষ্ট্র।

 

ফিন্যান্সিয়াল টাইমস্ উল্লেখ করে, মুজিব না থাকলে বাংলাদেশ কখনই জন্ম নিত না।

 

লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়, বাংলাদেশের লাখ লাখ লোক শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকাণ্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে।


নিউজ উইকে বঙ্গবন্ধুকে ‘পয়েট অব পলিটিক্স’ বলে আখ্যা দেয়া হয়।


বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী টাইম ম্যাগাজিন ১৯৮২ সালের ৫ এপ্রিল তাদের একটি সংখ্যায় উল্লেখ করে, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দশ বছরের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের আমল ছিল সর্বপ্রথম এবং দীর্ঘ গণতান্ত্রিক আমল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক ও প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবকে হত্যার পর হঠাৎ গণতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটে।

 

একুশে সংবাদ/এপি

জাতীয় বিভাগের আরো খবর