সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বিনিয়োগে জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:২৬ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানগত সুবিধার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান এই অঞ্চলের অর্থনৈতিকা আবহওয়ার জন্য প্রচুর সম্ভাবনার দাবি রাখে। ভারত, চীন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অবস্থান ও ৪ বিলিয়ন মানুষের সম্মিলিত বাজারে মাঝখানে বাংলাদেশের অবস্থান।’


ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাজার সুবিধা, উদার বিনিয়োগ নীতি এবং বিভিন্ন খাতে বাণিজ্য সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রয়োজনে দেশটির ব্যবসায়ীদের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দেয়া হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

 

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের হোটেল লোটে প্যালেসে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সদস্যদের সঙ্গে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।


শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণ হবে, তাই আমাদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা এবং রপ্তানি বাড়ানোর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত সহায়তা প্রয়োজন। এই চ্যালেঞ্জিং প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশীদার হতে পারে।’


বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানগত সুবিধার কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান এইঅঞ্চলের অর্থনৈতিক হাব হওয়ার জন্য প্রচুর সম্ভাবনার দাবি রাখে। ভারত, চীন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অবস্থান ও ৪ বিলিয়ন মানুষের সম্মিলিত বাজারে মাঝখানে বাংলাদেশের অবস্থান।’


দেশটির বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, ভারীযন্ত্রপাতি, রাসায়নিক সার, আইসিটি, সামুদ্রিক সম্পদ, জাহাজ নির্মাণ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরিতেবিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানান শেখ হাসিনা।

 

বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ নীতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উদার বিনিয়োগ নীতি রয়েছে- যার মধ্যে রয়েছে বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষা, ট্যাক্স হলিডে, রয়্যালটি রেমিট্যান্স; অনিয়ন্ত্রিত প্রস্থান নীতি; প্রস্থানের উপর লভ্যাংশ এবং মূলধনের সম্পূর্ণ প্রত্যাবর্তনের সুযোগ।’

 

দেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং দক্ষ কর্মীর সহজলভ্যতার কথাও উঠে আসে শেখ হাসিনার বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বেশ কিছু হাই-টেক পার্ক স্থাপন করছে। যদি প্রয়োজনহয় আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি স্বতন্ত্র বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দেব।’

 

তিনি বলেন, ‘ছয় লাখেরও বেশি ফ্রি-ল্যান্সিং আইটি পেশাদার থাকার কারণে বাংলাদেশ আইটি বিনিয়োগের জন্য সঠিকগন্তব্য। বাংলাদেশে প্রতিযোগিতামূলক মজুরিতে দক্ষ মানবসম্পদ একটি অতিরিক্ত সুবিধা।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর