সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

রাজউকের দুর্নীতিতে দুদকের তদন্ত

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:০৮ পিএম, ২৬ মে, ২০২২

 

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার এবং পূর্বাচল কনভেনশন লিমিটেডে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

 

বৃহস্পতিবার (২৬মে) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান শাখা অভিযোগগুলো অনুসন্ধান করবে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪মে কমিশন থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

দুদক পরিচালক উত্তম কুমার মণ্ডল সাক্ষর করা এক চিঠি বলা হয়েছে, রাজউকের এস্টেট শাখার কয়েকজন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলার কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে পূর্বাচল কনভেনশন লিমিটেডের নামে বরাদ্দকৃত প্লট নিয়ম বহির্ভূত ও অবৈধভাবে নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন নাম দেওয়া হয়েছে পূর্বাচল নীলা কনভেনশন লিমিটেড। একই সঙ্গে কনভেনশন লিমিটেডের নামে বরাদ্দসহ উচ্ছেদ অভিযানের নামে ঘুষ গ্রহণ, নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে ৫ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে।

 

চিঠিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে দুদকে দাখিলকৃত অভিযোগের সাথে এ অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য কমিশন থেকে সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়। আর অভিযোগটি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে দাখিল করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।

 

অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীমসহ বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজের সাথে যুক্ত থেকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে পৃথক আরও একটি অনুসন্ধান ২০১৯ সাল থেকে চলমান রয়েছে।

 

ওই অভিযোগে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা করে শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন করে বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের কথা বলা হয়েছিল। দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম ওই অভিযোগ অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছে।

 

একুশে সংবাদ.কম/য.ট.জা.হা

জাতীয় বিভাগের আরো খবর