সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

শিডিউলবিহীন ফ্লাইট কাস্টমসের গোয়েন্দারা ট্র্যাক করে

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:৪৫ পিএম, ২৫ অক্টোবর, ২০২১

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে  প্রায় ১২ কেজি ওজনের চারটি স্বর্ণের বার পাওয়া গেছে। শিডিউলবিহীন এসব ফ্লাইটকে সাধারণত কাস্টমসের গোয়েন্দারা ট্র্যাক করে থাকে। কারণ এই ফ্লাইটগুলোতে চোরাচালানের ঘটনা বেশি ঘটে। 

সোমবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর কাকরাইলে কাস্টমস গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. আবদুর রউফ এ কথা জানান।

এর আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিজি-৪১৪৮ থেকে ওই স্বর্ণগুলো উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য আট কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

কাস্টমস গোয়েন্দা অধিদপ্তরের ডিজি জানান, চোরাচালানের সংবাদের ভিত্তিতে সকালে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবস্থান নেয় কাস্টমস গোয়েন্দা বিভাগ। সকাল সোয়া ৯টার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবতরণ করে। এরপর এতে তল্লাশি চালায় বিমানবন্দরের কাস্টমস গোয়েন্দারা। এসময় বিমানটির কার্গো হোলের (যেখানে মালামাল রাখা হয়) মাঝে স্কচটেপে মোড়ানো তিনটি প্যাকেটে মেলে চারটি স্বর্ণের বার।

কার্গো হোলের ভেতরে বিমানের ক্রু কিংবা যাত্রী কেউ যেতে পারে না। প্লেনের নিচ থেকে এখানে রাখা হয় মালামাল। যার সুযোগ নেয় চোরাকারবারিরা।

কিন্তু এক্ষেত্রে প্লেনের কোনো কর্মচারী জড়িত কি না প্রশ্নে ডিজি আবদুর রউফ বলেন, আমরা বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে কর্মচারীদের তথ্য চেয়েছি। তারা দিলে আমরা সেটা পুলিশকে হস্তান্তর করবো।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্লেনটি আটক করেছিলাম। সাধারণত যেসব বাহনে চোরামাল উদ্ধার হয় যেখানে যানবাহন ও মালামাল দুইটাই জব্দ হয়। কিন্তু বিমানটির একটু পরই জেদ্দায় রওয়ানা হওয়ার কথা ছিল। আর আমাদের আটকের কারণে প্রায় দুই ঘণ্টার মতো দেরি হয়ে যায়। এছাড়া প্লেনে ৩০০ জনের ফ্লাইট ছিল। সে কারণে আমরা এটিকে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য জামিন দিয়েছি।

সুকৌশলে স্বর্ণ বারগুলো অবৈধভাবে সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের উদ্দেশ্যে দেশে আনা হয়। যা পরবর্তীতে যে কোনো পথে বিমানবন্দর সীমানার বাইরে পাচারের আশঙ্কা ছিল বলে জানান কাস্টমস গোয়েন্দা অধিদপ্তরের ডিজি।

এ ঘটনায় বিভাগীয় মামলা এবং একটি ফৌজদারি মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন বলে জানান তিনি।

এদিকে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৬৬ দশমিক ৯৬৪ কেজি স্বর্ণ আটক করা হয়েছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৪৭ কোটি টাকা।

এর আগে ১৭৪ দশমিক ৪৯ কেজি ২০২০-২১ অর্থবছরে এবং ৩৫ কেজি ৮০ দশমিক ১স্বর্ণ ২০১৯-২০ অর্থবছরে আটক করা হয়।

একুশে সংবাদ/জা/তাশা

জাতীয় বিভাগের আরো খবর