সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

শহীদ আসাদ দিবস আজ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১১:১৮ এএম, ২০ জানুয়ারি, ২০২১

স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের পতনের দাবিতে মিছিলের সময় ১৯৬৯ সালে ২০ জানুয়ারি পুলিশের গুলিতে নিহত হন ছাত্রনেতা আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। তার স্মরণে দিনটি শহীদ আসাদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। ছাত্রদের ১১ দফা এবং বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা দাবীর সাথে একাত্মতা পোষণ করে ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যাতে প্রধান ভূমিকা রাখেন শহীদ আসাদ।

১৯৬৯ সালের এই দিনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে বুকে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র ইউনিয়নের এই নেতা নিহত হওয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ছিলেন।

বিপ্লবী এই ছাত্রনেতা শহীদ হওয়ার পর, ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ছয় দফা ও ছাত্রদের ১১ দফার ভিত্তিতে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে ঢাকাসহ সারাবাংলার রাজপথে। এরপরই সংঘটিত হয় ঐতিহাসিক ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান। পতন ঘটে আইয়ুব খানের। এরপরই আরেক স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খান ক্ষমতায় বসে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেন। 

১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া বিস্ময়কর সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়। কিন্তু ইয়াহিয়া নানা টালবাহানা শুরু করেন ক্ষমতা না ছাড়ার। আর এখান থেকেই মুক্তিযুদ্ধ শুরুর ডঙ্কা বাজতে থাকে।

১৯৪২ সালের ১০ জুন নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ধানুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শহীদ আসাদ। মৃত্যুর পর নিজের গ্রামের বাড়িতেই তাকে সমাহিত করা হয়। আসাদ ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ১৯৬৬ সালে বি.এ এবং ১৯৬৭ সালে এম.এ ডিগ্রী অর্জন করেন। শহীদ আসাদ তৎকালীন ঢাকা হল (বতর্মান শহীদুল্লাহ হল) শাখার পূর্ব-পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে এবং পূর্ব-পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিবেদিত প্রাণ আসাদুজ্জামান গরিব ও অসহায় ছাত্রদের শিক্ষার অধিকার বিষয়ে সর্বদাই সজাগ ছিলেন।

এদিকে, আজ বিপ্লবী এই ছাত্রনেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ আসাদ পরিষদ নরসিংদীর শিবপুরের ধানুয়ায় প্রভাতফেরি, শহীদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ  ও দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ করবে।

একুশে সংবাদ/অমৃ

জাতীয় বিভাগের আরো খবর