সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কুমারীত্ব প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় নববধূকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা!

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১২:৩৩ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ভারতের রাজেস্থানের এক বিশেষ সম্প্রদায়ের মধ্যে কুকড়ি নামের এক প্রথার প্রচলন আছে। এতে বিয়ের প্রথম রাতে স্বামীর সঙ্গে শারীরিক মিলনের পর সাদা চাদরের উপর যদি মেয়েটির রক্তের দাগ লাগে, তবেই তাঁর সতীত্বের প্রমাণ মিলবে। আর শুধু তা-ই নয়, সেই চাদরটি সমাজের আর পাঁচ জনের সামনেও প্রদর্শনও করা হয়। কুমারীত্বের প্রমাণ না দিতে পারলে মেয়েটিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। না হলে মেয়েটির বাড়ির লোকেদের কাছ থেকে আরও বেশি যৌতুক আদায় করা হয়। এবার এমনই ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানের ভিলওয়ারা জেলায়। খবর আনন্দবাজারের।

কুমারীত্ব প্রমাণে ব্যর্থ নববধূ। তাই তাঁকে ত্যাগ করলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। নববধূকে পরিত্যাগ করেই থামেননি তাঁরা, ঘটনার বিচার চাইতে পঞ্চায়েতে চলল বিচার! বিচারে মেয়েটি এবং তাঁর পরিবারের উপর চাপানো হল ১০ লাখ টাকা জরিমানা।

নতুন বউয়ের পরিবার থেকে টাকা না পেয়ে তাদেরকে হেনস্থা শুরু করে ছেলের বাড়ির লোকজন। জামাই ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে মেয়েটির পরিবার।

থানার ইনচার্জ আইয়ুব খান এ বিষয়ে জানান, ‘ভিলওয়ারা শহরের বাসিন্দা ২৪ বছর বয়সি মেয়েটির বিয়ে হয়েছিল গত ১১ মে। বিয়ের পর রাজেস্থানের বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের কুকড়ি রীতি মেনে তাঁর কুমারীত্ব পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি বধূ। আর তা নিয়েই বাধে যত গোলমাল। পুলিশ এ বিষয় তদন্ত শুরু করেছে।’

পুলিশি জেরায় জানা গিয়েছে, বিয়ের আগে পাড়ার এক যুবক মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছিল। বিষয়টি জানতে পেরে স্বামী ও শাশুড়ি তাঁকে মারধরও করেন। এর পর শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে বাগোরের ভাদু মাতা মন্দিরে সমিতির পঞ্চায়েত ডাকা হয়। ১৮ মে পঞ্চায়েতে সভায় মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা জানান যে, মেয়েটিকে যে ধর্ষণ করা হয়েছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সুভাষনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ৩১ মে আবার বসে পঞ্চায়েত সভা। সে দিন কুকড়ি প্রথার নামে মেয়েটিকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।

একুশে সংবাদ/এসএপি/

জানা-অজানা বিভাগের আরো খবর