সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

পিজ্জা, জানুন ‘নিম্নবিত্ত’দের লোভনীয় এই খাবারের খুঁটিনাটি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:০২ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

পিজ্জা ভালবাসেন না, এমন একজন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ইতালিয়ান ফুড হিসাবে পরিচিত এই পিজ্জা, জানেন এর রেসিপি প্রথম কবে এবং কোথায় আবিষ্কার হয়েছিল? বা যারা পিজ্জা তৈরি করেন তাদের কে কী বলে? 

পিৎজা সম্পর্কিত খুঁটিনাটি অজানা কিছু তথ্য রইল আপনাদের জন্য।

১. দামি রেস্টুরেন্টে পিজ্জা খেয়ে মোটামুটি হাজার টাকার বিল তো করেই ফেলেন। জানেন, এটা আসলে ছিল নিম্নবৃত্ত, গরিবদের খাবার। ষোড়শ শতকের শুরুতে ইতালির নেপালস শহরে প্রথম এই খাবারের প্রচলন হয়। জানা যায়, এই শহরের খেটে খাওয়া নিম্নবিত্তদের কাছে পিজ্জা ছিল কম খরচের খাবার। পাউরুটির উপর শুধু টমেটো ও চিজ দিয়ে এই খাবার খেতেন নেপালসবাসীরা।

২. সম্প্রতি পিজ্জা শব্দের প্রচলন এত রমরমা হলেও, শব্দটি সামনে আসে দশম শতাব্দীতে। দক্ষিণ ইতালির লাজিওয়ের গায়েতা শহরে পিজ্জা শব্দের প্রথম প্রচলন হয়।

৩. এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল, আমেরিকায় ৬৩ শতাংশ মহিলা পিজ্জা পছন্দ করেন। আর ৭৮ শতাংশ পিজ্জার সঙ্গে কোল্ড ড্রিঙ্কস নিতে পছন্দ করেন। কিন্তু জানেন কী, আমেরিকায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে পর্যন্ত পিজ্জা খাওয়ার প্রচলন ছিল না। যুদ্ধের সময় ইতালিতে সৈন্যরা এই খাবার খেতেন। যা তাদের পছন্দ হয়। এবং তারপরেই আমেরিকাতেও পিজ্জার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।

৪. আমেরিকার অ্যাগ্রিকালচার বিভাগের সমীক্ষা অনুযায়ী, ছয়জনের মধ্যে একজন (২-৩৯ বছর বয়সি) পুরুষ সকালের টিফিন, দুপুরের খাবার বা রাতের খাবার হিসাবে পিজ্জা খেতে পছন্দ করেন। 

৫. ‘বেক’ পিজ্জার থেকে স্কটল্যান্ডের মানুষ ‘ডিপ ফ্রাই পিজ্জা’ খেতে বেশি পছন্দ করেন। আর যারা পিজ্জা তৈরি করেন তাদের বলে ‘পিজ্জাইলো’।

৬. এখন মহাকাশেও পৌঁছে গিয়েছে পিজ্জা। নভোচারিদের নাগালেও এখন পিজ্জা। কারণ ২০১৩ সালে নাসা এমন একটি অত্যাধুনিক প্রোটোটাইপ থ্রিডি প্রিন্টার তৈরি করে যা সহজে খাবার তৈরি করতে পারে। সেই ডিভাইসে অনান্য খাবারের মধ্যে পিজ্জা ছিল অন্যতম।

একুশেসংবাদ/ অমৃ

জানা-অজানা বিভাগের আরো খবর