সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

তীব্র গরমে নাজেহাল কলকাতাসহ পুরো পশ্চিমবঙ্গ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:০৭ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

তীব্র গরমে নাজেহাল কলকাতাসহ গোটা রাজ্য। তাপে শুকিয়েছে নদীর পানি। শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠ-ঘাট। এই তীব্র দহনজ্বালায় সেদ্ধ হওয়ার উপক্রম মানুষের।

কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলছে, তাপপ্রবাহের হাত থেকে এখনই নিস্তার পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই পশ্চিমবঙ্গের মানুষের। এ রকম অবস্থা চলবে আরও ৪-৫ দিন।

আবহাওয়া দপ্তরের আঞ্চলিক কর্মকর্তা সোমনাথ দত্ত জানান, দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ চলবে। শুক্রবার (৩ মে) পর্যন্ত আট জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহের লাল সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবারও বেশ কয়েক জেলায় চরম তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কবার্তা জারি রয়েছে। তবে নতুন করে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে, ৫ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রচণ্ড দাবদাহে এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সব সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারি স্কুলগুলোর কেউ কেউ অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশোনা চালাচ্ছে। কিছু বেসরকারি স্কুলে আবার সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ক্লাস চালু রয়েছে।

তবে বেলা ১১টার পর থেকেই কলকাতার রাস্তাঘাট কার্যত খাঁ খাঁ করছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। আর নিতান্তই যারা বেরোচ্ছেন, সূর্যের প্রখর তাপ থেকে বাঁচতে সারা শরীর কাপড়ে মুড়িয়ে নিচ্ছেন। বাইরে বেরোলেও তাপপ্রবাহের হাত থেকে রক্ষা পেতে সকাল-সকাল কাজ সেরে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষ।

চাকরিজীবীরাও রোদের তাপ বাড়ার আগেই তাদের নির্দিষ্ট কর্ম স্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাতেও নিস্তার নেই। প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। চিকিৎসকরা বলছেন, এই ধরনের আবহাওয়ায় হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা অনেক বেশি। হতে পারে পানিশূন্যতাও।

হিট স্ট্রোকের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর আগে থেকেই বেশ কয়েকটি হাসপাতালে বিশেষ ইউনিট চালু করেছে। যাতে হিট স্ট্রোকে আক্রান্তদের দ্রুত সেবা দেওয়া যায়।

একুশে সংবাদ/জা.নি./ এসএডি

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর