সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মার্কিন প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানালো ভারত

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৯:৫৭ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

গত বছর মণিপুর রাজ্যে সহিংসতা শুরুর পর ‘উল্লেখযোগ্য মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে’ উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। প্রতিবেদনে প্রতিক্রিয়ায় ভারত বলেছে, নথিটি গভীরভাবে পক্ষপাতদুষ্ট এবং ভারত সম্পর্কে ভুল ধারণার প্রতিফলন। খবর এনডিটিভির।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন সম্পর্কে একটি প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘এই প্রতিবেদনটি গভীরভাবে পক্ষপাতদুষ্ট এবং ভারত সম্পর্কে খুব দুর্বল বোঝাপড়ারই প্রতিফলন। আমাদের কাছে প্রতিবেদনটি ভিত্তিহীন।’

সম্প্রতি প্রকাশিত ‘২০২৩ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস: ইন্ডিয়া’-এর সারাংশে বলা হয়েছে, মণিপুরে মেইতি ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সংঘাতের ফলে উল্লেখযোগ্য মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘটনাটিকে ‘লজ্জাজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রতি বছর মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করা ইউএস কংগ্রেসের ম্যান্ডেট।

এছাড়াও প্রতিবেদনটিতে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিবিসির দিল্লি ও মুম্বাই অফিসে ৬০ ঘণ্টা অনুসন্ধানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদির ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রকাশের পরেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যদিও কর কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধানটিকে বিবিসির কর প্রদান ও মালিকানা কাঠামোতে অনিয়মের কারণে চালানো হয়েছে বলে বর্ণনা করেছে, তবে কর্মকর্তারা সংস্থার আর্থিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত নয় এমন সাংবাদিকদেরও সরঞ্জাম অনুসন্ধান ও জব্দ করেছেন।’

প্রতিবেদনে উত্থাপিত আরেকটি বিষয় ছিল মোদি উপাধির মানহানি সংক্রান্ত একটি মামলায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর দোষী সাব্যস্ত হওয়া ও সাজা দেওয়া। এর ফলে লোকসভায় তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে রাহুল গান্ধীকে পুনর্বহাল করা হয়েছিল।

পাশাপাশি কিছু ইতিবাচক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের জুলাই মাসে সরকার শ্রীনগরে শিয়াদের মহরম পালনের অনুমতি দিয়েছিল। মহররমের মিছিল ১৯৮৯ সালে নিষিদ্ধ করা হয়। এই অঞ্চলের যেকোনো অনুষ্ঠানে স্লোগান দেওয়া বা নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের লোগো প্রদর্শনের ওপরও কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল সরকার।

 

একুশে সংবাদ/ই.ফ.প্র/জাহা

 

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর