সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় রাশিয়া ও চীনের অস্ত্র

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০১:০৬ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

ইসরায়েল ও ইরানের হামলা পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গন। পশ্চিমা অনেক দেশই ইরানের এ হামলার নিন্দা জানালেও এ ইস্যুতে এতদিন কথা বলেনি চীন। অবশেষে ভাঙলো সেই নিরবতা। নেতানিয়াহু বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে রাইসি প্রশাসন একাই যথেষ্ট বলে জানালো দেশটি।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এড়াতেও সক্ষম দেশটি। এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপও করেছেন ওয়াং ই। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পর বেইজিং ইসরায়েলকে নয় বরং ইরানকেই সমর্থন দিচ্ছে বলে মত বিশ্লেষকদের।

এরমধ্যেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যেখান থেকে জানা যায়, পশ্চিমারা ইসরায়েলকে সরাসরি সমর্থন দিলেও পর্দার আড়ালে ইরানের ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়েছে দুই পরাশক্তি রাশিয়া এবং চীন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের ওপর হামলায় মিসাইল গাইডেন্স সিস্টেম হিসেবে ইরান যেমন চীনের বেইদু স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম ব্যবহার করেছে, এর পাশাপাশি ব্যবহার করেছে রাশিয়ার গ্লনাস সিস্টেম। এছাড়া আগে জানা গিয়েছিল রাশিয়ার সঙ্গে ইউএভি (মনুষ্যবিহীন বিমান) তৈরির গবেষণা চালাচ্ছে ইরান। এ ধরনের কিছু ইউএভি ব্যবহার হয়েছে ইসরায়েলে হামলার সময়ে।

এছাড়া ইসরায়েলে ইরানের হামলার আগে থেকেই, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান পরিস্থিতিতে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে রাশিয়া। শুধু তাই নয়, গেল বছর অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসের সদস্য হিসেবে যুক্ত হওয়ায় ইরানকে সমর্থন দিচ্ছে রাশিয়া। সামরিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একে অপরের ঘনিষ্ঠ মিত্র হয়ে উঠছে তারা।

এদিকে, পশ্চিমাদের হুমকি ধামকিকে তোয়াক্কা না করে ২০২২ সালে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়াকে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে সম্মতি জানায় ইরান। এর বিনিময়ে রাশিয়ার থেকে তারা নেয় উন্নতমানের যুদ্ধবিমান এবং আকাশপথে নিরাপত্তার প্রযুক্তি।

এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের মত, রাশিয়ার বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য প্রযুক্তি যদি ইরান কাজে লাগায়, তবে ইসরায়েল হামলা করলে তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে পারবে তেহরান।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। তাদের সঙ্গে হামলায় যোগ দেয় ইয়েমেনের ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। এরপর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানো হয়েছে বলে জাননো হয়।


একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
 

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর