সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ভারতকে ‘হুমকি’ বলল কানাডা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১০:৩৬ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

কানাডার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ভারতকে ‘সম্ভাব্য হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে দেশটির গোয়েন্দা বিভাগ। সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে চীনকেও তালিকায় রেখেছে দেশটি।

কানাডীয় সংবাদ সংস্থা গ্লোবাল টাইমসের বরাতে শনিবার (৩ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

কানাডীয় সংবাদ সংস্থা গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের (সিএসআইএস) অতি–গোপনীয় নথির বরাত দেওয়া হয়। ওই নথি গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারির বলে জানা গেছে।

গোপন এই নথির শিরোনাম ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের মন্ত্রীদের ব্রিফিং’। এতে বিদেশি হস্তক্ষেপের ব্যাপারে কানাডার সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।

এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা জানি যে চীন গোপনে ও প্রতারণামূলকভাবে ২০১৯ ও ২০২১ সালের ফেডারেল নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চেয়েছিল।’ এতে চীনকে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে বলা হয়েছে। ভারতও বিদেশি হস্তক্ষেপ করে বলে এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।  

ওই প্রতিবেদনের তিনটি পৃষ্ঠা ভারতকে নিয়ে লেখা। ভারত নিয়ে যে তথ্য সামনে এসেছে তা হলো, বিদেশি কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করছে ভারত। এ প্রতিবেদনে চীনের পাশে যে একটি নাম রয়েছে তা হলো ভারত।

এমন এক সময়ে এই প্রতিবেদন সামনে এল, যখন অটোয়াতে নির্বাচনের তোড়জোড় চলছে। এতে বলা হয়, এসব নির্বাচনে চীন ও ভারত নির্বাচিত প্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের টার্গেট করে। আর এর মাধ্যমে নীতিনির্ধারণে নিজেদের মতো করে নিয়ম যুক্ত করে দেয়।  

খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে পাল্টে গেছে ভারত-কানাডার দ্বিপক্ষীয় সমীকরণ। ঘটেছে পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনা, স্থগিত হয়েছে দু’দেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিও।

বিবাদের শুরু গত বছরের মাঝামাঝি কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকে ঘিরে। কানাডার অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডে ভারতের হাত রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে থাকা ভারতীয় এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি দিল্লিও। দেশটিতে নিযুক্ত কানাডার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদন এসব ঘটনার আরও অনেক আগে করা। চীনের ইস্যু অবশ্য বেশ কয়েক বছর ধরেই আলোচনায়। দেশটি কানাডা ও আমেরিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশে গোপনে স্টেশন খুলে কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে অভিযোগ।


একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর