সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষে নেতানিয়াহুকে দায়ী করছেন ৮০ ভাগ ইসরায়েলি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:৩৫ পিএম, ২০ অক্টোবর, ২০২৩

গত ৭ অক্টোবর থেকে চলছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ। এই সংঘর্ষের জন্য ইসরায়েলের ৮০ ভাগ জনগণ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে দায়ী করছেন। এর মধ্যে ৬৯ শতাংশই গত বছর নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টিকে ভোট দিয়েছিলেন। মাত্র ৮ শতাংশ সাধারণ জনগণ মনে করেন, নেতানিয়াহু দায়ী নন।

 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা বলছে, সাম্প্রতিক এক জরিপ থেকে এই তথ্যই পাওয়া গেছে।

 

ডেইলি মারিভ নামের ইসরায়েলি একটি সংবাদমাধ্যমের করা মতামতভিত্তিক জরিপ থেকে জানা যায়, এই মুহুর্তে গাজায় স্থল হামলা চালানো উচিৎ বলে মনে করেন ইসরায়েলের ৬৫ ভাগ জনগণ। তবে ২১ ভাগ মনে করেন, এখনই স্থল হামলা চালানো উচিৎ নয়। আর ৮০ ভাগ মনে করেন, ৭ অক্টোবরের ব্যর্থতার জন্য নেতানিয়াহুকে অবশ্যই দায় নিতে হবে।

 

ইসরায়েলের দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেম থেকে আল-জাজিরার প্রতিনিধি অ্যালান ফিশার বলেন, ‘বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিজেকে আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় নেতা হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছেন। বিশ্বনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। কিন্তু এর কোনো বড় প্রভাব পড়ছে না। ইসরায়েলিরা মনে করেন, নেতানিয়াহুর বিদায় নেওয়ার সময় এসেছে।’

 

এদিকে, ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়া গাজার প্রাচীনতম গির্জায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় চার্চ অব সেন্ট পরফিরিয়াসে ওই হামলা চালানো হয়। হামলায় গির্জাটির একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকজন হতাহত হয়েছে।

 

উপত্যকার গাজা সিটিতে গ্রিক অর্থোডক্স সেন্ট পরফিরিয়াস চার্চটি অবস্থিত। হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত শুরুর পর খ্রিস্টান ও মুসলিম ফিলিস্তিনিরা গ্রিক অর্থোডক্স গির্জাটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার এই গির্জার অদূরে অবস্থিত আল-আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রায় ৫০০ জন নিহত হয়। গত ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর বিভিন্ন গির্জা ও হাসপাতালে বিপুল সংখ্যক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

 

এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। আহত সাড়ে ১২ হাজার। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় স্থল অভিযানের লক্ষ্যে সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সেনা জড়ো করেছে ইসরায়েল।

 

একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর