সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সিঙ্গাপুরে অর্থপাচারকারী ১০ জনের স্ত্রীও সন্দেহের তালিকায়

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:৪৫ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুরে আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে বিশাল এক অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে ১০ জন অর্থপাচারকারীসহ প্রায় ১০ লাখ সিঙ্গাপুরী ডলারের সমমূল্যের সম্পদ ও অর্থ জব্দ করা হয়েছে।

 

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) মালয়েশিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকরী বাহিনীর অভিযানে আটক অর্থপাচারকারীদের স্ত্রী ও অন্যসব আত্মীয়-স্বজনদের ওপরও নজরদারি করা হচ্ছে। সন্দেহের তালিকায় রাখা হচ্ছে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের। এছাড়া আটককৃতদের সঙ্গে পরিচয় রয়েছে এমন ব্যক্তিদের সম্পদ ও ব্যবসার ওপর তদন্ত করা হচ্ছে।

 

গত ২৭ আগস্ট সিঙ্গাপুরের আইন মন্ত্রণালয় সম্ভাব্য সন্দেহজনক লেনদেনকারী মূল্যবান ধাতু ও পাথর ব্যবসায়ীদের একটি নোটিশ পাঠিয়েছিল। নোটিশে সন্দেহজনক ২৪ জনের কাছে তথ্য চাওয়া হয়। বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা এসব ব্যবসার মাধ্যমে সন্দেহজনক কোনো লেনদেন করেছেন কি না তা যেন অবহিত করা হয়।

 

আদালতে পরবর্তী শুনানিতে অর্থপাচার মামলার প্রসিউকিশন জানায়, অভিযুক্তদের তালিকায় অর্থপাচার মামলায় আটক ১০ ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজন ও স্ত্রীরা রয়েছেন।

 

অভিযুক্তদের স্ত্রীরা আর্থিকভাবে অনেক প্রভাবশালী। তাদের স্ত্রীদের নামে প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। আবার কোনো কোনো অভিযুক্তের ভাই বা অন্য আত্মীয়-স্বজনদের নামেও সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে।

 

এদিকে গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে চলা অভিযানে আটক ১০ জনের মধ্যে সাইপ্রাস, তুরস্ক, চীন, কম্বোডিয়া ও নি-ভানুয়াতুর নাগরিক রয়েছেন। তবে তাদের পাসপোর্ট আসল নাকি নকল ছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

 

এর আগে গত ১৬ আগস্ট ওই ১০ অর্থপাচারকারী ও প্রতারকদের আটকের বিষয়টি এক বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয়। মূলত তারা সিঙ্গাপুর দেশকে ব্যবহার করে অর্থপাচারসহ অন্যান্য নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বাড়িয়ে দেয়ায় এসবের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয় দেশটির আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

 

অভিযানের পর সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ডেভিড চু জানিয়েছিলেন, সিঙ্গাপুরের অবৈধভাবে অর্জিত বা অর্থপাচারের মাধ্যমে গড়া কোনো সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেলেই জব্দ করা হবে তা। সিঙ্গাপুরকে ব্যবহারের মাধ্যমে কোনোভাবেই প্রতারণা কিংবা অর্থপাচারের মতো অপরাধমূলক কাজকর্ম করতে দেয়া হবে না। যদি এসবের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে

 

একুশে সংবাদ/ঢ.প.প্র/জাহা

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর