সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

শত শত বছরের উষ্ণ মাস হতে পারে জুলাই

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১১:১৮ এএম, ২১ জুলাই, ২০২৩

চলতি জুলাই মাসে বিশ্বের গড় তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙেছে। ৪০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা দেখা যাচ্ছে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু অঞ্চলেও ভয়াবহ গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে সামনে এসেছে আরো ভয়ংকর তথ্য।


যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, চলতি জুলাই মাসই হতে পারে শত শত বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ মাস।


শুক্রবার (২১ জুলাই) বার্তাসংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের জুলাই ‘হাজার বছরের মধ্যে না হলেও শত শত বছরের মধ্যে’ সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস হবে বলে মন্তব্য করেছেন নাসার শীর্ষ জলবায়ুবিদ গ্যাভিন শ্মিট।


এএফপি বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মেইন ইউনিভার্সিটির পরিচালিত সরঞ্জামের হিসাব অনুযায়ী এরই মধ্যে গরম ও তাপপ্রবাহের দৈনিক রেকর্ডগুলো ভেঙে গেছে।


বৃহস্পতিবার নাসার ব্রিফিংয়ে গ্যাভিন শ্মিট বলেন, আমরা সারা বিশ্বে অভূতপূর্ব পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। আমরা ইউরোপে, চীনে এবং যুক্তরাষ্ট্রে যে তাপপ্রবাহ দেখছি তা আসলে সব রেকর্ড ভেঙে ফেলছে। তাপপ্রবাহের এই প্রভাবগুলোর জন্য শুধুমাত্র এল নিনোর আবহাওয়ার ধরনকে দায়ী করা যায় না। মূলত এটি ‘সত্যিই কেবলমাত্র আবির্ভূত হয়েছে’।


গ্যাভিন শ্মিট বলেন, বর্তমান তাপপ্রবাহের পেছনে যদিও এল নিনো ছোট ভূমিকা পালন করছে, তারপরও আমরা যা দেখছি তা হলো- প্রায় সর্বত্রই সামগ্রিকভাবে উষ্ণতা বেড়েছে। বিশেষ করে মহাসাগরগুলোতে। আমরা অনেক মাস ধরে সমুদ্র পৃষ্ঠের রেকর্ড-ব্রেকিং তাপমাত্রা দেখছি। এমনকি সেটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের বাইরেও।


তার ভাষায়, আমরা বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোকে আগের মতোই প্রবেশ করাচ্ছি। এ কারণে এই ধরনের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে।


এএফপি বলছে, বিশ্বে এখন যা হচ্ছে তাতে ২০২৩ সাল যে বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ বছর হবে তেমন সম্ভাবনা দিনদিন বাড়ছে। গ্যাভিন শ্মিট অবশ্য তার হিসাবের ওপর ভিত্তি করে বর্তমানে তেমন কোনো সম্ভাবনাকে ‘ফিফটি-ফিফটি’ বলছেন।


তিনি বলছেন, অন্য বিজ্ঞানীরা এমন সম্ভাবনাকে ৮০ শতাংশের মতো উচ্চতায় রেখেছেন।


এছাড়া চলতি বছরের তুলনায় ২০২৪ সাল আরো বেশি উষ্ণ বছর হবে বলেও নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন নাসার শীর্ষ এই জলবায়ুবিদ।

 

একুশে সংবাদ/জ/এসএপি

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর